গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জানের চালা গ্রামের একটি পুকুর ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একদল মানুষের দাবি, ওই পুকুরে মানত করলেই পূরণ হয় মনোবাসনা। এই ভরসায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে সাধারণ মানুষ। তারা মানতের টাকা ফেলছেন পুকুরে। সেই টাকা আবার আটকে যাচ্ছে খাদেমের জালে।
জানা গেছে, রীতিমতো ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছেন ষাঁড়ের পুকুরের খাদেম আমির আলী। চলতি বছরে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকায় পৌরসভা থেকে পুকুরটির ইজারা নেন তিনি। পুকুরের বাঁশ ঘেরা অংশে টাকা ফেলতে হয় মানতকারীদের। প্রতি সন্ধ্যায় পুকুরের বাঁশ ঘেরা অংশের নিচে পেতে রাখা হয় জাল। দিন শেষে পুকুর থেকে টাকা ও মানতকৃত সকল কিছু নিজে নেওয়ার কথাও স্বীকার করেন খাদেম আমির আলী।
ওই পুকুর ঘিরে গুজব আছে, প্রায় দুই শত বছর আগে কোনো এক রাজা স্বপ্ন দেখেন, বাড়ির পাশের পুকুরে দুটি ষাঁড় দিতে হবে। পরে পুকুরে ষাঁড় দুটি নামিয়ে দেওয়ার পর ষাঁড়গুলোকে আর পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই পুকুরের নাম ‘ষাঁড়ের পুকুর’।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই জাল পেতে অনিয়মের বিষয়টি জানতে পারলাম। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবো। তবে বিশ্বাসকে পুঁজি করে কেউ যদি প্রতারণা করে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ নিয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ইজারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেন কেউ চাঁদাবাজি করতে না পারে।
গাজীপুর কথা