ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে গাছের গায়ে রং-তুলির আঁচড়

প্রকাশিত: ১২:৩০, ২৬ অক্টোবর ২০২১

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে গাছের গায়ে রং-তুলির আঁচড়

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে গেলে চোখে পড়বে নতুন দৃশ্য। গাছে গাছে কারুকাজ। তাজা বা মরা, মোটা বা চিকন সব ধরনের গাছেই এঁকে দেওয়া হয়েছে তুলির আঁচড়। কোনোটিতে পাখি আবার কোনোটিতে শহীদ মিনার ও লতাগুম্ম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এসবই করা হয়েছে রংধনুর সাত রঙে।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় শতাধিক গাছে করা হয়েছে এসব চিত্রকর্ম। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিকের উদ্যোগে করা চিত্রকর্মগুলো এরই মধ্যে স্থানীয়দের নজর কেড়েছে।



উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চিত্রশিল্পী আহসান হাবীব সাজু গাছে গাছে এ চিত্র এঁকেছেন। তাকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় আরেক চিত্রশিল্পী উপজেলার দড়িসোম গ্রামের আয়নাল হোসেন।

উপজেলার পরিষদের বাসিন্দা ও সমবায় অফিসে কর্মরত আসাদুজ্জামান এরশাদ বলেন, পুরো উপজেলা রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে। দেখতে খুব ভালো লাগছে। সারাদিন কাজ করার পর মনে ক্লান্তি থাকলেও গাছের চিত্রকর্মগুলো দেখলে নিমিষেই ভালো হয়ে যায়।

আরেক বাসিন্দা শিক্ষক শাহানাজ আক্তার বলেন, গাছের গায়ে রং-তুলির আঁচড় উপজেলা পরিষদ চত্বরকে অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে। দেখলেই মনটা ফুরফুরে হয়ে যায়।

স্থানীয় আর্টের দোকানি আয়নাল হোসেন বলেন, কালীগঞ্জে তার একটি আর্টের দোকান রয়েছে। নানা ধরনের সাইনবোর্ড বা দেওয়াল লেখার কাজ করেন তিনি। কিন্তু এ কাজটিতে সহযোগিতা করে তিনি অনেক আনন্দ পেয়েছেন

চিত্রশিল্পী আহসান হাবীব সাজু বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে গাছ আর মানুষের যে সম্পর্ক, তা তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কারণ প্রকৃতি বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। কেননা সৃষ্টির প্রতিটি জীবন একে অপরের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত গাছ আর পরিবেশ ধ্বংস করছি। গাছ ধ্বংসের ফলে পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। আমি গাছের গায়ে রং দিয়ে গাছেরও যে জীবন-যৌবন আছে সেটা মনে করিয়ে দিয়েছি।

কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয়দের সেবা দিতে গিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় পার করেন। কাজের ব্যস্ততা শেষে বাড়ি বা বাসায় ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রঙিন চিত্রকর্মের গাছগুলো দেখে সহজেই তাদের মন ভালো হয়ে যাবে।

চিত্রকর্মে রংধনুর সাত রং ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রংধনু সবারই ভালো লাগে। আকাশে কালো মেঘের পর রংধনুর উদয় হয়। একটু আগে যে আকাশের কালো মেঘে মানুষের মন খারাপ হয়, কিছুক্ষণ পর সেই আকাশের রংধনুতেই মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। তাই আমরা চেষ্টা করেছি চিত্রশিল্পীর মাধ্যমে তার চিত্রকর্মে সাত রঙের ব্যবহার করতে।

গাজীপুর কথা