গাজীপুরে চোর সন্দেহে এক মাদরাসাছাত্রকে (৯) খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিশুর বাবা ও মা উপজেলার ডাইনকিনি এলাকায় ভাড়া থেকে কারখানায় কাজ করেন। সে গ্রামের বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিশুর বাবা ওয়ালটন কারখানায় এবং মা একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন। শিশুটি বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করলেও গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে তাদের সঙ্গে থাকে। রোববার সকালে শিশুর বাবা-মা তাদের কর্মস্থলে গেলে সে চন্দ্রা এলাকায় ঘুরতে বের হয়। একপর্যায়ে ওই শিশু রঞ্জিত মেডিকেল হলে প্রবেশ করলে পাশের আনোয়ার হোসেন নামের আরেক ব্যবসায়ী তাকে চোর সন্দেহে আটক করেন। পরে আনোয়ার ও মিছির কুমার মিলে তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটির মাকে খবর দিয়ে তার কাছে বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে শিশুটির মা মুঠোফোনে বলেন, মিথ্যা চুরির অভিযোগে আমার ছেলেকে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ভাই ভাই হার্ডওয়ার দোকানের মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, না বলে সে দোকানে ঢুকেছিল। সুযোগ পেলে চুরি করতো।
অভিযুক্ত রঞ্জিত মেডিকেল হলের মালিক মিছির কুমার বলেন, আমি পানি আনতে গিয়েছিলাম। এসে শুনি দোকানের ছেলেটি আমার ক্যাশে হাত দেয়। কিন্তু টাকা চুরি করতে পারেনি। বিষয়টি টের পেয়ে পাশের দোকানদার তাকে আটক করে বেঁধে রাখে। কয়েকটি চর-থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে। তবে মারধর করা হয়নি।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে বাঁধা পাইনি বা মারধর করতেও দেখা যায়নি। শিশুটির সঙ্গে অন্যায়ভাবে কিছু হয়ে থাকলে তার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর কথা