ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জিয়ার কবরসহ সকল স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২৬ আগস্ট ২০২১

জিয়ার কবরসহ সকল স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে জিয়ার কবরসহ সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্পিকার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন পর্যালোচনা করে সংসদ ভবন এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংসদ ভবনকে মূল নকশায় ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানের মাজারে জিয়াউর রহমানের মরদেহ নেই। তাকে ব্রাশফায়ার করে হত্যার পর মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের মরদেহ থাকলে ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করার আহ্বানও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান কোথায় যুদ্ধ করেছে, এমন নজির নাই। তিনি অস্ত্রহাতে নিয়ে যুদ্ধও করে নাই। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে নেতৃত্বে ছিল। কিন্তু যুদ্ধ লাগলেই দূরে থাকতো। তাছাড়া চন্দ্রিমা উদ্যানেও জিয়ার লাশ নেই।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে না সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যানে) জিয়া নাই, জিয়ার লাশ নাই? তাহলে এতো নাটক করে কেন? খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কি কখনো তার লাশ দেখেছে? ওখানে একটা বাক্স নিয়ে এসেছিল। সেখানে গিয়ে মারামারি ধস্তাধস্তি কেন? মারামারি ধস্তাধস্তির অভ্যাস তাদের এখনো যায়নি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল। জনগণ তাকে ঘেরাও করে আটকও করে। তাকে ধরে এনে স্বাধীনতার ঘোষণাপাঠ করানো হয়। প্রথমদিকে অনেক আপত্তি ছিল তার। জনগণের চাপে পাঠ করেছিল।
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের ঘাতক দল বাংলাদেশকে পাকিস্তানি কায়দার রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা পারেনি।
এ সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর কমিটির আয়োজনে এ সভায় তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পরিক্রমা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দেশকে পাকিস্তানি কায়দায় গড়তে চেয়েছিল এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের চক্রান্ত আর কখনো বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। তিনি জানান, স্বাধীনতা অর্জনকে ভুল প্রমাণ করতেই জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও এরশাদ কেউ দেশের উন্নয়ন করেনি।
তিনি আরো বলেন, জিয়া দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বে কখনও বিশ্বাস করতেন না। তাকে ধরে এনে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র পাঠ করানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরও জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।

গাজীপুর কথা