গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বসত ঘর থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় ছুরিকাঘাতের ক্ষত চিহ্নযুক্ত রয়েছে। নিহত মমতাজ বেগম (৩০), স্থানীয় রায়েদ এলাকার মোঃ ইউসুফ আলীর (৬২) স্ত্রী।
কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, রাতের খাবার খেয়ে নিজ বসত ঘরের একই খাটে স্বামী-স্ত্রী তাদের তিন সন্তানকে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে মমতাজের গোঙানীর শব্দ পেয়ে সন্তানদের ঘুম ভাঙ্গে। পরে তারা তার মায়ের গলায় ধারালো অস্ত্রের (ছুরি) আঘাতের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে ইউসুফ আলীসহ সন্তানরা মমতাজকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভিক্টিমের স্বামীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে ভিক্টিমের স্বামী ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে কিছু ইঙ্গিত পেলেও স্বামী তাতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করছেন। ভিক্টিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ছুরিকাঘাত করে জখম করা হয়েছে, না-কি ছুরিকাঘাতের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। তা ময়নাতদন্তের আগে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বসত ঘরের টেবিল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অপর একটি সূত্রে পাওয়া গেছে স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিরোধ চলছিল। এনিয়েও স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি।
গাজীপুর কথা