গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকায় পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে কালীগঞ্জের বড়িহাটি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকায় পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় ওই তরুণ। নিখোঁজ ওই তরুণ উপজেলার টিউরি এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।
নিখোঁজ রাব্বীর স্বজনদের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে ও পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও রাব্বীর স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজে বসে মোবাইলে গেমস খেলছিল রাব্বীসহ আরও কয়েকজন তরুণ। ওই সময় কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল সামাদ ওই জাহাজ যায়। একপর্যায়ে জাহাজে থাকা কয়েক তরুণ পুলিশ দেখে পালাতে থাকেন। এরমধ্যে রাব্বীসহ কয়েকজন শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর থেকেই রাব্বী নিখোঁজ। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান পায়নি।
এ ব্যাপারে ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, সকালে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানা এসেছেন তারা অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
গাজীপুর কথা
