ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ১৮ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালিয়াকৈরের বাঁশতলী গ্রামে ৩শ বছর বয়সী অচিন বৃক্ষ

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ২৬ জুলাই ২০২১

কালিয়াকৈরের বাঁশতলী গ্রামে ৩শ বছর বয়সী অচিন বৃক্ষ

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বাঁশতলী গ্রামে আনুমানিক ৩শ বছরের বেশি বয়সী একটি অচেনা বৃক্ষ রয়েছে। যে গাছটিকে গ্রামের মানুষ অচিন গাছ বলে সম্বোধন করেন। তবে বৃক্ষ গবেষকেরা জানিয়েছেন এটির নাম ‘সাদা পাকুড়’। যার আকার-আকৃতিতে বট গাছের মতোই বিশাল ও বিস্তৃত।

২০১৫ সালের ২২ মে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন এর আমন্ত্রণে বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণি সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ (ইপ্যাক ফাউন্ডেশন) এর উদ্যোগে বৃক্ষটির নিচে একটি সভার আয়োজন করা হয়। বৃক্ষটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দীর্ঘদিন পর্যালোচনার পর ইপ্যাক ফাউন্ডেশন বৃক্ষটির নাম দেয় ‘সাদা পাকুড়’।

সভায় অচিন বৃক্ষটির ‘সাদা পাকুড়’ নামকরণ ঘোষণা করেন ইপ্যাক ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আখতারুজ্জামান চৌধুরী।

মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, তাদের গ্রামের আলেফ মিয়ার বাড়ির সামনে প্রায় দুই বিঘা জমির ওপরে ওই গাছটির অবস্থান। গাছটি নিয়ে নানা রহস্য ও লোককাহিনী রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ গাছটি দেখতে আসেন। সব সময় ছায়া থাকায় গ্রামের মানুষ একটু প্রশান্তির খোঁজে ওই গাছের নিচে ছুটে আসে। এ কারণে গাছটির চারিপাশে সুন্দর বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, ৪৫ বছর যাবৎ গাছটিকে এমনই দেখছি। ছোটবেলায় দাদার মুখেও শুনেছি তিনিও নাকি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে গাছটিকে এমনই দেখেছেন। আমরা আগে অচিন গাছ, বড় গাছ বলেই ডাকতাম। কয়েক বছর আগে জানলাম গাছটির নাম ‘সাদা পাকুড়’।

চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ গাছে পাতা ঝরে গিয়ে নতুন পাতা গজায়। পাতা মসৃণ ও ডিম্বাকৃতি ফলার মতো। গাছটিতে ছোট ছোট গোলাকার সাদা রঙের ফল ধরে। এই ফল পাখির প্রিয় খাবার। সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে গাছটিতে ফল ধরে।

গাজীপুর কথা