ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিবাসীদের ঈদ

প্রকাশিত: ১৮:২১, ২১ জুলাই ২০২১

গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিবাসীদের ঈদ

ঈদের দিন গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিবাসীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতরে মসজিদে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।  

কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক হাবিবা খন্দকার বেলি বুধবার একথা জানান।

হাবিবা জানান, সকাল ৮টায় পুনর্বাসন কেন্দ্রের ভেতরে থাকা মসজিদেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে; সেখানেই নিবাসীরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

খাবারের তালিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদের দিন সকালে সেমাই-মুড়ি, ভুনা খিচুড়ি; দুপুরে পোলাও, মাংস, সালাদ; রাতে সাদা ভাত ও মাংস রাখা হয়েছে।

হাবিবা বলেন, ঈদের দিন এখানকার নিবাসীদের জন্য বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এদিন ইচ্ছা করলে তাদের স্বজনরা দেখা করতে এবং রান্না করা খাবারও দিতে পারেন। তবে করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে এবার এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বাইরের কাউকে তাদের সান্নিধ্যে যেতে দেওয়া হয় না।

“এমনকি গত দুই মাস আগে থেকে এ কেন্দ্রে নতুন নিবাসী ভর্তি কার্যক্রমও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার নিবাসী ভর্তি শুরু করা হবে।” 

 

 

কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর জানান, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে বর্তমানে ৮০ জন পুরুষ এবং ৬০ জন মহিলা নিবাসী রয়েছেন। তাদের সকলের জন্য প্রতিষ্ঠাতার পক্ষ থেকে কাপড়, খাবার, ওষুধসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হয়। এখানে ভর্তি হওয়া নিবাসীর কোনো খরচ দিতে হয় না। তবে ভর্তির সময় তাদের বয়স ন্যূনতম ৬০ বছর এবং শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতে হবে।

 

হাবিবা খন্দকার বেলি জানান, খতিব আব্দুল জাহিদ মুকুল ১৯৮৭ সালে সম্পূর্ণ বেসরকারিভাবে ঢাকার উত্তরায় এ পুনর্বাসন কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে তা ১৯৯৫ সালে গাজীপুর সদর উপজেলার বিকে বাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক ও সবুজ-শ্যামল পরিবেশে স্থানান্তর করেন। প্রায় ১০০ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এ কেন্দ্রে ফল বাগান, সব্জি বাগান ছাড়া এর নিজস্ব জমিতে খনন করা পুকুরে মাছ চাষ, ধান চাষও করা হয়; যা নিবাসীদের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ঢাকা থেকে এখানে যেতে হলে ময়মনসিংহগামী বাসে অথবা শ্রীপুরগামী প্রভাতি পরিবহন বাসে উঠে গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়। পরে সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় কেন্দ্রে যাওয়া যাবে।

গাজীপুর কথা