ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালিয়াকৈরের ‘ধলা মিয়া’র দাম সাত লক্ষ টাকা

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ৯ জুলাই ২০২১

কালিয়াকৈরের ‘ধলা মিয়া’র দাম সাত লক্ষ টাকা

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ এলাকায় দেখা মিলেছে হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ২৫ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির একটি ষাঁড়। আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এই ষাঁড়টিকে লালন পালন করে উপযুক্ত দামের আশায় স্বপ্ন বুনছেন খামারের মালিক। ষাঁড়টির রং সাদা হওয়ায় গরু খামারি আদর করে নাম রেখেছেন ধলা মিয়া। গরুর মূল্য জানতে চাইলে সাত লক্ষ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন ষাঁড়ের মালিক। কঠোর লকডাউন ও মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোরবানি ঈদ উপলক্ষে সশরীরে বিস্তীর্ণ ভাবে হাট বসার বিষয়টি অনিশ্চয়তায় ভাসছে। তাই খামারিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম অথবা অনলাইনের মাধ্যমে বেচা-বিক্রির জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

ষাঁড়ের মালিক উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়নের বরিয়াবহ গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে খামারি জাহিদুল ইসলাম। ধলা মিয়া নামের ষাঁড়টি বর্তমান বয়স ২ বৎসর ৫ মাস। জাহিদুল ইসলামের পালের গাভি থেকেই ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে এই ষাঁড়টি হয়েছিল। জাহিদুল ইসলামের পরিবারের সকলেই ষাঁড়ের পরিচর্যা করেন বলে জানা গেছে, তার মধ্যে খামারির ভাই, পিতা এবং তিনি বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেন এই ধলা মিয়ার পিছনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এলাকায় প্রচারিত হওয়ার পর খামারি জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে গরুটি কেনার উদ্দেশ্যে ভিড় জমাচ্ছেন অনেক আগ্রহী ক্রেতাগণ। ক্রেতারা শেষ পর্যন্ত ধলা মিয়ার দাম চার লাখ টাকা বলেছেন বলে জানিয়েছেন গরুর মালিক জাহিদুল ইসলাম।
 
খামারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের বড় গরু লালন-পালন করতে বেশ কষ্ট করতে হয়। প্রতিদিন এই গরুর পেছনে এখন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যায়। আমার পরিবারের সকলেই এই গরুটিকে অনেক ভালোবাসে। আমরা এই গরুকে আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মত লালন-পালন করে থাকি। আর এই করোনা পরিস্থিতিতে এবার হাটের ওপর ভরসা করতে পারছি না। করোনার সঙ্কটময় মুহূর্তে দাম নিয়েও সংশয়ে আছি। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, অনলাইনে গরুর ছবি দিয়ে বিক্রির চেষ্টা করছি।

প্রতিদিন এই গরুর খাবারের তালিকায় থাকে- ছোলা, খেসারির ডাল, ভুট্টা, কুড়ো, খইল, ভাত ও কাঁচা ঘাস। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফৌজিয়া কাদির জানান, কালিয়াকৈর উপজেলায় ১১ হাজার ৮২০টি কোরবানির জন্য উপযুক্ত পশু রয়েছে। এসব পশুর মধ্যে সবচেয়ে বড় শ্রীফলতলী ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলামের ষাঁড়টি বাজার মূল্য সঠিক পেলে খামারটি অনেক লাভবান হবে। এছাড়া করোনার সময়ে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি হবে।

গাজীপুর কথা