ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালীগঞ্জে সৎভাইয়ের হাতে কলেজছাত্র খুন: বাবা-ছেলে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ২৬ মে ২০২১

কালীগঞ্জে সৎভাইয়ের হাতে কলেজছাত্র খুন: বাবা-ছেলে গ্রেফতার

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাকে গালমন্দ করার প্রতিবাদ করায় সৎভাইয়ের হাতে আরিফুল ইসলাম শেখ নামে এক কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার ১০ দিন পর মঙ্গলবার সিলেটের জৈয়ন্তাপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসামি মামা ইব্রাহীম ও মামাতো ভাই সজীবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান।

মামলার কর্মকর্তা ও থানার উপপরিদর্শক মো. সাদিকুর রহমান জানান, অভিযুক্তদের ধরতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ শক্ত অবস্থানে  রয়েছে।  এদিকে পুলিশের তৎপরতা দেখে আসামিরা বিভিন্ন স্থানে পালানোর চেষ্টা চালায়।

মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিলেটের জৈয়ন্তাপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাপ-বেটা দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে।  

এ ঘটনায় গত ৮ মে শনিবার রাতে নিহতের মা ছুলেমা বেগম বাদী হয়ে সৎছেলে ও সতীনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ্য করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন, যার নং ৪।  

অভিযুক্তরা হলেন- ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে লুৎফুর রহমান শেখ, তার ছোটভাই রাহিম শেখ, প্রতিবেশী লেহাজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম শেখ, মামা ইব্রাহীম, মামাতো ভাই সজীব, নজরুলের ছেলে রায়হান ও সৎমা দুদ মেহের।

উল্লেখ্য, ৭ মে আরিফের মাকে লুৎফরের মা অকথ্যভাষায় গালাগাল করে। এ সময় বুলবুল, বাবুল ও আরিফ তিন ভাই মিলে তার মাকে গালাগাল করার কারণ জানতে সৎভাই লুৎফরের বাড়িতে যায়। সেখানে তাদের উভয়ের মাঝে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

পরে ওই রাতেই উভয়ের পরিবারের লোকজন  বিষয়টি প্রাথমিকভাবে মীমাংসা করে দেন।

এদিকে ৮ মে কলেজছাত্র আরিফ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে গাজীপুর যাচ্ছিলেন। পথে লুৎফরের মামাবাড়িসংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সৎভাই লুৎফর ও তার মামা ইব্রাহীম, মামাতো ভাই সজীব ও প্রতিবেশী লেহাজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ও ওয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী দুদ মেহের মিলে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।

পরে চিৎকার শুনে বড়ভাই বুলবুল ও বাবুল এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতাড়ি ছুড়িকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

ঢাকায় নেওয়ার পথে তাদের অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত উত্তরা সিনসিন জাপান হাসপাতালে নিলে ওখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণ করেন। আহত অপর দুজন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

গাজীপুর কথা