দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের সমন্বয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রেসক্লাব গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।
রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের রেস্টুরেন্ট সিএফসিতে এক আলোচনা সভায় প্রেসক্লাবটির আত্মপ্রকাশ করে।
এর আগে সভায় সব সদস্যের সম্মতিতে এম আতিকুজ্জামন শাকিলকে সভাপতি ও ডিজার হোসেন বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে রয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সম্রাট হোসাইন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হাসান, কোষাধ্যক্ষ সোহাগ হায়দার, প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন, তথ্য গবেষণা ও সাহিত্য বিষয় সম্পাদক আসাদুজ্জামান আপেল, আব্দুর রউফ, সাইদুজ্জামান রেজা, দেলোয়ার হোসেন নয়ন, রবিউল ইসলাম রতন, আবু নাঈম এবং মঞ্জু হোসেন।
এসময় সবাই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের সঙ্গে থেকে এ ক্লাবকে আরো বহুদূর এগিয়ে নিয়ে নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে এ বন্দরের সব সমস্যা-সম্ভাবনা ও উন্নয়ন গণমাধ্যমে আরো বেশি করে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আতিকুজ্জামান শাকিল বলেন, বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা ও উন্নয়নমূলক কাজ এবং সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরতে মূলত এ প্রেসক্লাবের আত্মপ্রকাশ।
সাধারণ সম্পাদক ডিজার হোসেন বাদশা বলেন, ১৯৯৭ সালে এ বন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হলেও বন্দর সংশ্লিষ্ট কোনো সাংবাদিক সংগঠন ছিল না। ফলে বন্দরের উন্নয়নমূলক অনেক কাজ দূরদূরান্তের সাংবাদিকরা সময় মতো তুলে ধরতে পারেন না। বন্দর প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ দুই যুগ পর হলেও অবশেষে বন্দর সংশ্লিষ্ট বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রেসক্লাব গঠিত হলো। আশা করি, আমাদের এ প্রেসক্লাবের সদস্যসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা এ ক্লাবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবেন এবং সুষ্ঠুভাবে দ্রুত বন্দরের উন্নয়ন, সম্ভাবনা, অনিয়ম ও বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরবেন।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ডিজার হোসেন বাদশাকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যার ১৫ দিনের মাথায় এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।
গাজীপুর কথা