ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ :প্যানেল সম্পর্কে মতামত

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২ জুন ২০২০

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ :প্যানেল সম্পর্কে মতামত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষায় মোট অংশ গ্রহন ক৷ রে ২৪লাখ ৫ জন। অংশগ্রহণের দিক থেকে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যক। এর মধ্যো থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৫৫ হাজার ১৪৭ জন। শতকরা পাসের হার ২.৩। ভাইবা পরীক্ষা শেষে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জন। আর অবশিষ্ট ৩৭১৪৭ ভাইবায় পাশ করার পরও নিয়োগ বঞ্চিত হয়। 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৪ এ একটি মামলা জনিত কারণে চার বছর নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হই। আমরা যারা স্বপ্ন দেখতাম প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হব, গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর ২০২০ সাল পর্যন্ত মাত্র একটা নিয়োগ পেয়েছি। যার কারণে আমাদের অধিকাংশের চাকুরীর বয়স শেষ হয়ে গেছে। আর আমরা সবাই মেধাবী । লিখিত পরীক্ষায় আমরা আমাদের মেধার প্রমান দিয়েছি। 
তাই আমরা ৩৭১৪৭ জন প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। 

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ থেকে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সারাদেশে প্রায় 
৪০হাজার শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন। তাই করোনা পরিস্থিতির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও শিক্ষক সংকট দূর করতে প্যানেলে নিয়োগ উত্তম পন্থা। 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এ চুড়ান্ত নির্বাচনে নারী কোটা পূরণ না হওয়ার আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তাই ৩৭১৪৭ জন নিয়োগ বঞ্চিতদের  যদি প্যানেলে নিয়োগ দেয়া হয়, তাহলে নতুন গ্রাজুয়েটদের জন্যও ভাল হবে। কারণ  প্যানেল হলে রিট জটিলতা কেটে যাবে, তাড়াতাড়ি সার্কুলার হবে। আর যদি প্যানেল না হয় তাহলে হয়তো ২০১৪ সালের মত রিট জটিলতায় জন্য আরও ৪ বছর নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারে। 
এছাড়া একটি সার্কুলার দিয়ে চুড়ান্তভাবে শিক্ষক নির্বাচন করতে দেড় থেকে দুই বছর লাগে। এ দুই বছরে শূন্যপদ গিয়ে দাড়াবে ১ লাখের উপরে। 

২০১৬ সালের ডিপিও এর এক তথ্য মতে প্রতিদিন গড়ে ২০০ জনের অধিক শিক্ষক অবসরে যান।  তাই নতুন গ্রাজুয়েটদের জন্য হলেও প্যানেল বাস্তবায়ন খুব জরুরী।

#সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ - ২০১৮।  প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পর্কে ভিআইপি ও সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গের মতামত প্রতিবেদন সহকারে তুলে ধরা হল।

#১ঃ মাননীয় ফসিউল্লাহ স্যার ডিজি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি বলেছেন প্রাথমিকের ভাইভা পরীক্ষায় পাস/ফেল নেই। হাজির হলেই ১৪/১৫ পাওয়া যায়।

#২ঃ মাননীয় নজরুল ইসলাম খান স্যার সাবেক ডিজি ও  সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি বলেছেন প্যানেলের বিপক্ষে আইনি কোনো জটিলতা নেই। প্রাথমিকে প্যানেল অবশ্বই প্রয়োজন।

#৩ঃ মাননীয় অধ্যক্ষ, বজলুর রহমান স্যার সভাপতি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। তিনি বলেছেন ২৪ লাখ কথাটা শুনলেই শরীর শিউরে ওঠে। যারা এই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারা সবাই চাকুরীর জন্য কোয়ালিফাইড। 

#৪ঃ মাননীয় সিদ্দিকুর রহমান স্যার সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। তিনি বলেছেন প্রাথমিকে শূণ্য পদে নিয়োগ প্যানেলের মাধ্যমে দেওয়া জরুরি। 

#৫ঃ জনাব ধীমান চন্দ্র বিশ্বাস স্যার প্রধান শিক্ষক, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি বলেছেন প্রাথমিকে করোনার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা লাঘব করতে প্যানেলের বিকল্প নেই।

"হে বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, "শেখ হাসিনা "
সোনার বাংলা‌গঠনে, উন্নয়নের ছোঁয়া যে পরিবর্তন হচ্ছে, সেই সোনার বাংলা গড়তে আমাদেরকে প্রাথমিকে প্যানেল গঠনের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে অংশ গ্রহণের সুযোগ দিন।

মো: রাসেল আহম্মেদ 
সহকারী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক 
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮: প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটি।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন