ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

এক জমিতে তিন ফসল চাষে চাষিদের আলোড়ন

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৪ নভেম্বর ২০২২

এক জমিতে তিন ফসল চাষে চাষিদের আলোড়ন

সংগৃহীত ছবি

সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কামতা এলাকা। এখানে এবার একসঙ্গে তিন ফসল আবাদ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এই এলাকার চাষিরা। একইসঙ্গে জমির ফলনও বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি।

উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কামতা এলাকায় ২০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টার সঙ্গে লাল শাক ও ধনিয়া পাতা আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন এক সবজি চাষি। খরচের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লাভ হওয়ায় অনেকেই এখন এ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার বিষমুক্ত সবজি চাষের পাশাপাশি ভুট্টার আবাদ করেছেন কৃষক রাহেদুল ইসলাম। ওই একই জমিতে ভুট্টার পাশ দিয়েই লাল শাক ও ধনিয়া পাতার আবাদ করেছেন তিনি। সেখানে সবকিছুর ফলনই ভালো হয়েছে। ২০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা, লাল শাক ও ধনিয়া পাতা আবাদ করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকার লাল শাক ও ধনিয়া পাতা বিক্রি করেছেন তিনি। এরপরেও আরও কয়েক লাখ টাকার সবজি আছে তার জমিতে। এছাড়া এসব সবজি বিক্রির পর লাভের আরও একটি বড় অংশ থাকবে ভুট্টা থেকে।

ভুট্টা ক্ষেতে চাষ করা লাল শাক তোলার এক শ্রমিক বলেন, আমরা দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক বেলা লাল শাক তুলে দিলে মালিক ২০০ টাকা দেন। বাড়িতে বসে না থেকে বাড়তি আয়ের জন্য এই কাজ করছি।

আরেক শ্রমিক বলেন, আমরা সারাদিন এই লাল শাক তুলি আর ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে থাকা আগাছা পরিষ্কার করি। জমির আগাছা পরিষ্কার না করলে ভুট্টার ফলন কম হবে। তাই লাল শাক তোলার পাশাপাশি আগাছা পরিষ্কারে কাজও করছি।

এ ব্যাপারে রাহেদুল ইসলাম বলেন, আমি এ পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রায় তিন বছর ধরে ভুট্টা ও সবজি আবাদ করে আসছি। আমার এই আবাদ দেখে এখন অনেকেই শুরু করেছেন। উৎপাদিত এসব সবজি নিজেই ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে বিক্রি করি। নিজে থেকে বিক্রি করার কারণে অন্য চাষিদের চেয়ে আমার লাভ অনেকাংশেই বেশি হয়।

জানতে চাইলে সাটুরিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, আমার উপজেলার চাষিরা অনেক দিন আগে থেকেই এক জমিতে একাধিক ফসল চাষ শুরু করেছেন। জমিতে সঠিক পরিচর্যা করে তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে গিয়ে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।