ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

একদিনে ডলারের দাম কমল সাড়ে ৫ টাকা

প্রকাশিত: ১৩:০১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

একদিনে ডলারের দাম কমল সাড়ে ৫ টাকা

ডলার

প্রতিদিনই আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ওঠানামা করছে। আগের দিন আড়াই টাকা বাড়ার পর গতকাল বুধবার ডলারের দাম প্রায় সাড়ে ৫ টাকা কমে নেমে গেছে ১০২ টাকা ৫৬ পয়সায়। তবে খোলাবাজারে আগের মতো ১১৫ টাকাতেই হাতবদল হচ্ছে ডলার। ব্যাংকগুলো বলছে, যেদিন রপ্তানি বিল নগদায়ন বেশি হচ্ছে, সেদিন ডলারের আন্তঃব্যাংক দাম একটু নিম্নমুখী থাকছে। যেদিন কম হচ্ছে, সেদিন ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কারণ রপ্তানি বিলে ডলার সংগ্রহ খরচ তুলনামূলক কম, সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা। যেখানে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ১০৮ টাকা।

বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা কমাতে আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার গত ১২ সেপ্টেম্বর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর একদিনের ব্যবধানে ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ১০ টাকা ১৫ পয়সা বেড়ে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সায় উঠে। পরের দিন দর আরও ৭৫ পয়সা বেড়ে ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা হয়। তবে ১৫ সেপ্টেম্বর দর ১৫ পয়সা কমে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সায় নেমে আসে। গত সোমবার তা আরও ১ টাকা ২৫ পয়সা কমে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায় নামে। কিন্তু গত মঙ্গলবার আড়াই টাকা বেড়ে ডলারের দাম উঠেছিল ১০৮ টাকা।

গত ১১ সেপ্টেম্বর সব পর্যায়ে ডলার কেনাবেচার অভিন্ন রেট নির্ধারণ করে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এতে রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৯৯ টাকা ও প্রবাসী আয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ফলে ডলার সংগ্রহে গড়ে সর্বোচ্চ খরচ হয় ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে ১ টাকা মুনাফা যোগ করে আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা নেওয়ার কথা ব্যাংকগুলোর। কিন্তু বাস্তবে এই দামে আমদানি এলসি নিষ্পত্তির জন্য ডলার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ডলারের বাজারের অস্থিরতা কমাতে প্রতিনিয়তই রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত মঙ্গলবার ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়। এই নিয়ে চলতি অর্থবছরের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে মোট ডলার বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের পুরো সময়ে বিক্রি করা হয় ৭৬২ কোটি ডলার।