স্বপ্নের পদ্মা সেতু
একটি সেতু। আবেগাপ্লুত গোটা জাতি। কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি পুরো জাতির অপরাজেয় চেতনার বহিঃপ্রকাশ। উত্তাল পদ্মায় দাঁড়িয়ে থাকা এ সেতু এখন বাংলাদেশের শিরদাঁড়া।
সত্যিই কেউ দাবায়ে রাখতে পারল না। বিজয় সে তো বরাবরই আনন্দের। সৃষ্টির বেদনা, চিরন্তন সত্য কিন্তু সেই সৃষ্টি যদি হয় শত বাধা ডিঙিয়ে তাহলে সেই উল্লাস বাঁধন হারা হতে বাধ্য। হয়েছেও তাই।
পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা সেতুর উদ্বোধন দেখতে দু’পাড়ের সব বাসার ছাদে ছিলেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সেতু দেখতে কেমন সবাই জানেন, তারপরও এত পদ্মা সেতু, তাই সেটি ছুঁয়ে দেখার সাধ সব বাঙালির।
দেখতে আসা মানুষ বলছেন, এ সেতু আমাদের একটা লালিত স্বপ্ন। অনেক দূর থেকে এসেছি। খুবই খুশি লাগছে। এত আনন্দ লাগছে যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।
এই যেমন বাংলার বাঘ খ্যাত সোয়েব হাজির হয়েছেন এখানেও। তার মতে, বাঙালি কখনোই মাথা নত করে না। বাঙালি বাঘের মতোই গর্জে উঠেছে পদ্মার বুকে।
সেতু প্রান্তে আসা অনেকের মতে, এই সেতুর সরাসরি উপকারভোগী ২১ জেলার মানুষ। সাদা চোখে দেখা এই বাস্তবতাই শেষ কথা নয়। কারণ পদ্মা সেতু বাঙালির হার না মানার প্রতীকও বটে। ইতিবাচক এই জেদই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে অনেক দূর।