সংগৃহিত ছবি
সীমানা পেরিয়ে এবার ‘মাঙ্কিপক্স’ রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশে। সংক্রামক রোধে এবার বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সর্বপ্রথম আফ্রিকায় ‘মাঙ্কিপক্স’ শনাক্ত হয়। এরপর ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। সুইডেনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। আশঙ্কা করা হয় এটি মহামারীতে রূপ নিতে পারে। ইউরোপের পর এবার ‘মাঙ্কিপক্স’ ছড়িয়ে গেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। যার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমানবন্দরের আগমনী চ্যানেলে সার্বক্ষণিক একটি চিকিৎসক দল নিয়োজিত রয়েছে। গতকাল শনিবার শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে মাঙ্কিপক্স বিষয়ে এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাঙ্কিপক্স লক্ষণযুক্ত কোনো যাত্রী থাকলে দ্রুত তা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে আসার ২১ দিনের মধ্যে যাত্রীদের মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলো দেখা দিলে ১০৬৫৫ নম্বরে কল করতেও অনুরোধ করা হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছে। লিফলেট দিচ্ছে এবং আগমন স্বাস্থ্য ডেস্কগুলো ২৪/৭ ডাক্তারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক অধিদপ্তরের উপপরিচালক দাউদ আদনান।
আদনান বলেন, মাঙ্কিপক্স যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিমানবন্দর, নৌপথ ও অন্যান্য প্রবেশ পয়েন্টগুলোতে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হবে।
করোনার মত ‘মাঙ্কিপক্স’ যাতে মহামারীতে রূপ নিতে না পারে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স বিস্তারের ব্যাপারে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স এক ধরনের সংক্রামক রোগ। এর উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লুর মতো। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারে।