ঢাকা,  সোমবার  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বিদেশি পর্যটকদের ভিসার ক্ষেত্রে আরও উদার হওয়া জরুরি: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:০০, ১ অক্টোবর ২০২৩

বিদেশি পর্যটকদের ভিসার ক্ষেত্রে আরও উদার হওয়া জরুরি: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

বিদেশি পর্যটকদের ভিসার ক্ষেত্রে আরও উদার হওয়া জরুরি: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়াতে কর অবকাশ (ট্যাক্স হলিডে) সুবিধার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পর্যটনের উন্নয়ন ও বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে একথা জানান তিনি। এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ-এটিজেএফবি আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। সংগঠনটির সভাপতি ও বাসস এর বিশেষ প্রতিনিধি তানজিম আনোয়ারের সভাপতিত্বে সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি জিয়াউল হক সবুজ। 

সেমিনারে মো. মাহবুব আলী জানান, পর্যটনের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। অনুষ্ঠানে অন্য আলোচকরা দেশের পর্যটনের প্রচার ও বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিবেচনার জন্য কর্মপরিকল্পনার তাগিদ দেন। পর্যটনের বিকাশে গণমাধ্যমকর্মীদের যথাযথ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দেন খাত-সংশ্লিষ্টরা। খাতটি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের দেশের স্বার্থে ইতিবাচক সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।

 

 

স্বাগত বক্তব্যে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও বাংলাদেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের বিকাশে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ মিডিয়ার গঠনমূলক ভূমিকা ছাড়া কোনও দেশের পর্যটন বিকাশ সম্ভব নয়। এর জন্য সরকারি-বেসরকারি উভয় পর্যায় থেকে গণমাধ্যমকে পর্যটনের স্টেকহোল্ডার হিসেবে মূল্যায়নের পরামর্শ দেন তিনি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমরা দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পর্যটন এমন একটি বিষয়ে যা প্রচার করতে হয়। এ জন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন। গণমাধ্যমের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি। পর্যটন সচিব জানান, শিগগিরই আমরা সেন্টমার্টিনসকে প্লাস্টিক মুক্ত করবো। এ জন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের পর্যটনের অসংখ্য উপাদান রয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগ আছে, মিডিয়াও এগিয়ে আসছে। আমাদের আশপাশের দেশ পর্যটনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ট্যুরিজম খাতের তেমন প্রচার বা ব্র্যান্ডিং হয়নি। সরকারি কর্মকর্তা যারাই বিদেশে যাবেন তাদের পর্যটনের উন্নয়ন অন্যতম এজেন্ডা হওযা উচিত বলে মনে করেন তিনি। 

প্যাসেফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশনের (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি মেলায় অংশ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ নেপাল, শ্রীলংকার মতো দেশ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েও শ্রীলঙ্কা শুধু পর্যটনের মাধ্যমে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসব বিবেচনায় সরকারকে যেকোনো সিদ্ধান্ত আরও ভেবেচিন্তে নেয়ার তাগিদ দেন তিনি। 

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরায়েশি বলেন, মিডিয়ার প্রচারের ফলে পর্যটনের নতুন নতুন গন্তব্য মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। শ্রীলংকা দেউলিয়া হলেও পর্যটনের প্রচারে পিছিয়ে নেই।

এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার আরও বেগবান করতে হবে। প্রমোশনের অভাবে বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের প্রচার হচ্ছে না। আমাদের পর্যটনের সম্ভবনা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আরও বেশি করে প্রচারের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের মিডিয়া পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশে নেগেটিভ নিউজ বেশি পছন্দ করে, এ কারণে কিছু খারাপ খবর বেশি আসে। আমাদের মিডিয়াকে পর্যটন ও এভিয়েশনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে আরও আন্তরিক হতে হবে।