ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আসল জামদানি চেনার উপায়

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ২৪ নভেম্বর ২০২২

আসল জামদানি চেনার উপায়

ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামদানি আসল নাকি নকল তা শাড়ির উল্টো দিকে নকশা দেখলেই বোঝা যায়। প্রকৃত জামদানি শাড়িতে ফুল, লতা ,পাতা হচ্ছে আসল জামদানি শাড়ির ট্র্যাডিশনাল ডিজাইন। এর মধ্যে এখন নিত্যনতুন মোটিফ তৈরি হচ্ছে।

ঢাকাই মসলিন বা ঢাকাই জামদানির উৎপত্তি স্থল ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জের পাশে ডেমরাতে। মূলত কটন ও মসলিন ম্যাটেরিয়ালের ওপর হাতের বুননে শিল্পশৈলী ফুটিয়ে তোলা হত। মসলিন সুতা সেই সময় চরকায় কাটা হত। মসলিন সুতা একসময় তাঁতিরা হাতেই কাটতেন। ব্রিটিশরা নিয়ম জারি করেছিলেন সুতা মেশিনে কাটতে হবে। তাই নিয়ম না মানায় অনেক তাঁতিরই হাতের আঙুল কেটে নেয়া হয়।

যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

>>শাড়ির উল্টোদিকে নকশার সুতো কাটা থাকলে তখন বুঝে নিতে হবে সুতা মেশিনে তৈরি। 

>> সঠিক জামদানি শাড়ির ক্ষেত্রে নকশার পেছন দিকটা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে যে সুতা বোনা হয় সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়। কোনো সুতা কাটা থাকবে না। এক কথায় বুনন নিখুঁত থাকবে না।

উল্লেখ্য, জামদানি হচ্ছে কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের পরিধেয় বস্ত্র যার বয়ন পদ্ধতি জটিল এবং আধুনিক। জামদানি বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। মসলিন বয়নে যেমন কমপক্ষে ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয়, জামদানি বয়নে সাধারণত ২৬-৮০-৮৪ কাউন্টের সূতা ব্যবহৃত হয়।