ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ধ্বংসস্তূপের নিচে মেয়ে, হাত ধরে বসে আছেন বাবা

প্রকাশিত: ১০:৫১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ধ্বংসস্তূপের নিচে মেয়ে, হাত ধরে বসে আছেন বাবা

তুরস্কে ধ্বংসস্তূপে মেয়ের মরদেহ, হাত ধরে বসে আছেন বাবা। ছবি: সংগৃহীত

ধ্বংসস্তূপে মেয়ের মরদেহ; সেখানেই হাত ধরে বসে আছেন বাবা। অসহায় এ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন বার্তা সংস্থা এএফপির এক আলোকচিত্রী। খবর ডেইলি মেইলের।

বাবার অসহায়ত্বের কাছে শোকও যেন হার মেনেছে। তার চোখে পানি নেই; রাজ্যের হতাশা আর অসহায়ত্ব চোখ-মুখ জুড়ে। আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়া অসহায় বাবা নির্বাক বসে আছেন হাত ধরে প্রাণহীন মেয়ের পাশে।

মেসুত হ্যান্সার, তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের বাসিন্দা। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে তার ১৫ বছর বয়সি মেয়ে ইরমাকের। কিন্তু তখনও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ধংসস্তূপ ছেড়ে যাননি মেসুত হ্যান্সার; অপলক দৃষ্টিতে বসে আছেন মেয়ের হাতটি ধরে।

শক্তিশালী ভূমিকম্পে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা হাসপাতালগুলোতে।

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনটাই অনুমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলেছে, তাদের হিসেবে, দুই দেশ মিলিয়ে দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি শিশু।

তুরস্কে ২৪ হাজারের বেশি দুর্যোগ ও জরুরি কর্মকর্তা উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেঁচে যাওয়া মানুষরাও। তবে প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকাজে। সময়মতো বেঁচে থাকা মানুষের কাছে তারা পৌঁছাতে পারছেন না। এ কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

এছাড়া তুষারপাত ও আফটার শকের কারণেও ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম। হতাহতের সংখ্যা ৮ গুণ বাড়তে পারে বলে আশংকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

এদিকে আগামী ৩ মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।