৫৩ কর্মীকে মালয়েশিয়ায় স্বাগত জানালেন হাইকমিশনার
২০১৯ সালে কর্মী নেওয়া বন্ধের পর প্রথমবারের মতো ৫৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ৯ আগস্ট মঙ্গলবার মালয়েশিয়া সকালে বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) তাদের স্বাগত জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার।
এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নবাগত কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনার বলেন, দেশের সম্মান বজায় রেখে মালয়েশিয়ার আইনকানুন মেনে কাজ করবেন। হাইকমিশন আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
এ সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন মিনিস্টার শ্রম নাজমুস সাদাত সেলিম এবং মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা। এ সময় হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার উপহার সামগ্রী কর্মীদের হাতে তুলে দেন।
২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যান। পরে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়।
পরে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিযার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার চেষ্টা চালায়। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এ পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মোট ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানিতে নিয়োগ অনুমতিপ্রাপ্ত ১১০ জন কর্মীর মধ্যে ৫৩ জন কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য রোববার আবেদন করলে সেদিনই ৫৩ জনের অনুকূলে বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র/স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়।
