ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ১৮ জুন ২০২২

৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত

বাস্তুচ্যুত শিশু

সংঘর্ষ, সহিংসতা ও অন্যান্য সংকটের কারণে আফগানিস্তান, কঙ্গো ও ইয়েমেনে ২০২১ সালে ৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই সর্বোচ্চ শিশু বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানায় জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

সৌদি জোট ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে সাত বছর ধরে চলা যুদ্ধ ধ্বংস করেছে দেশটির অর্থনীতিকে। জীবন বাঁচাতে ঘরছাড়া হয়েছে বহু মানুষ। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নানামুখী সংকটে পড়েছে দেশটির বাসিন্দারা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ জব্দ থাকায় ঘুরছে না অর্থনীতির চাকা।

অভাবের তাড়নায় বাড়িঘর ছেড়েছেন অনেকে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন স্থানীয়রা। আর দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রভাবে কঙ্গোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। এসবের সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশগুলোর শিশুদের ওপর। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালে ৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে আফগানিস্তান, কঙ্গো ও ইয়েমেনে।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই সর্বোচ্চ শিশু বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা। এই ৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশুর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ শরণার্থী হয়েছে। আর সংঘাত ও সহিংসতার কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ শিশু। এ ছাড়া গত এক বছরে বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে ২২ লাখ।
 
জলবায়ু এবং পরিবেশগত কারণে ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হওয়া শিশুদের ইউনিসেফের এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে বাস্তুহারা শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
 
ইউনিসেফ প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, ৩ কোটি ৬৫ লাখ বাস্তুচ্যুত শিশুর মধ্যে ২৮ শতাংশই মানব পাচারের শিকার। সংস্থাটির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শিশুদের বাস্তুচ্যুত ও পাচার হওয়া রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আর যেসব শিশু ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি সেবা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।