শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩০,  ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া

কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি সংসদে এই আইনটি প্রস্তাব করেছে। এরপর ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি এই বিলে সমর্থন দেয়। ফলে সংসদে এ বিল পাসের পক্ষে যথেষ্ট ভোট পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্ষমতাসীন দলের নীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান পার্ক ডাই-চুল বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় এক কোটি পরিবার কুকুর পোষে। তাই এখনই সময় কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করা।

পার্ক তার দলের প্রধান নীতিনির্ধারক এবং তিনি ‘কিম কিওন-হি’স বিল’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যেটি দেশের ফার্স্ট লেডিকে উল্লেখ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফার্স্ট লেডি তার দেশে কুকুরের মাংস খাওয়ার অনুশীলন বন্ধ করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অবশ্য এই নামকরণটি নিজ দলের সহকর্মী সদস্যদের কাছ থেকেও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যারা পার্ককে দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ধূর্ততার অভিযোগ এনেছিলেন।

রুশ এই সংবাদমাধ্যম বলছে, ফার্স্ট লেডি সব ধরনের কুকুরের মাংসের ব্যবসা এবং খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন। গত মাসে তিনি দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটাতে একটি আইন পাস করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন।

একইসঙ্গে সেসময় তিনি ‘কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করার জন্য প্রচারাভিযান এবং প্রচেষ্টা চালানোর’ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। গত আগস্টের শেষের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মানুষ এবং প্রাণীদের সহাবস্থান থাকা উচিত। অবৈধ কুকুরের মাংস নিয়ে চালানো কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত।’

অবশ্য কোরীয় উপদ্বীপে কুকুরের মাংস খাওয়া একটি শতাব্দী প্রাচীন প্রথা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এটি হ্রাস পাচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে খামারের সংখ্যা অর্ধেকে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু কুকুর খামারি সমিতির মতে, প্রতি বছর এখনও ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ কুকুর খাওয়ার উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়। যদিও এই সংখ্যা এক দশক আগের থেকে অনেক হ্রাস পেয়েছে।

অবশ্য কুকুরের মাংস শিল্পকে সম্পূর্ণভাবে বেআইনি করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের ইতোপূর্বে চালানো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কুকুর-খামারি এবং রেস্তোঁরা মালিকরা বিরোধিতা করেছিল। মূলত জীবিকা হারানোর ভয়েই সেই বিরোধিতা করেছিলেন তারা।

যদিও খামারিদের যুক্তি, মাংসের জন্য প্রজনন করা কুকুর পোষা প্রাণী থেকে আলাদা।