ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মিয়ানমারে সেনা হামলায় সেভ দ্য চিলড্রেন কর্মী নিখোঁজ

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

মিয়ানমারে সেনা হামলায় সেভ দ্য চিলড্রেন কর্মী নিখোঁজ

মিয়ানমারে একটি হামলায় ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃতদেহ উদ্ধারের পর আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, তাদের দুইজন কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই হামলার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ইস্টার্ন কায়াহ রাজ্যে সেনা সদস্যরা মানুষজনকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করেছে। এরপর কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের হত্যা করে তাদের শরীর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবারের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই দেশ জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। দেশটির নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দলের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির অন্য সদস্যদের আটক করে রেখেছে সেনাবাহিনী।
এরপর থেকে শিশুসহ শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জুলাই মাসে বেসামরিক লোকদের উপর একের পর এক গণহত্যা চালিয়েছে, এসব ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার পাঠানো একটি বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ওই হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। হামলার নিন্দাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলছে, তাদের দুইজন স্থায়ী কর্মী মানবিক সহায়তা কার্যক্রম শেষে ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তারা ওই হামলার মধ্যে পড়ে যান। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
''আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি সেখানে হামলার মুখে পড়েছে এবং সেগুলোয় আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে,'' সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী ইনগের আশিং বলেছেন, ''যেখানে নির্দোষ বেসামরিক লোকজন এবং আমাদের কর্মীদের ওপর সহিংসতা চালানো হয়েছে, তাতে আমরা আতংকিত হয়ে পড়েছি। আমাদের কর্মীরা শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার কাজ করতেন, মিয়ানমার জুড়ে লাখ লাখ শিশুদের জন্য তারা সহায়তা দিয়ে আসছিলেন।''
হোপরুসু শহরতলীর কাছে ওই হামলার পরে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেভ দ্য চিলড্রেনের গাড়িগুলোর অবশিষ্ট পড়ে আছে।
সামরিক জান্তার বিরোধিতাকারী সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী কারেনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, নিহতরা কেউই মিলিশিয়া সদস্য নয়, তারা ছিলেন বেসামরিক বাসিন্দা, যারা সহিংসতা থেকে আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছিলেন।
সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র এএফপি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, শুক্রবার হোপরুসু এলাকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সামরিক বাহিনী সাতটি গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেছিল, যেগুলো সন্দেহজনকভাবে চলছিল।
বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে সামরিক মুখপাত্র যাউ মিন তুন এএফপিকে বলেছেন, ''তাদের সঙ্গে সহিংসতায় বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে সেনা সদস্যরা।'' সূত্র: বিবিসি

গাজীপুর কথা