ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

২০ মে, চুকনগর গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২০ মে ২০২২

২০ মে, চুকনগর গণহত্যা দিবস

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে ১৯৭১ সালের ২০ মে পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল, সংখ্যার ভিত্তিতে তা ছিল বৃহত্তম। ওই দিন ঠিক কতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, তা আজও জানা যায়নি। কারণ নিহতরা ছিল অস্থানীয়। তবে এই সংখ্যা কোনোক্রমে ১০ হাজারের কম নয়।
চুকনগর শহরটি ভারতীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত হওয়ায় যুদ্ধ শুরু হলে খুলনা ও বাগেরহাট থেকে প্রচুর মানুষ ভদ্রা নদী পার হয়ে চুকনগরে পালিয়ে যান। ২০ মে সকাল ১০টার দিকে তিনটি ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা চুকনগর বাজারের ঝাউতলায় (তৎকালীন পাতখোলা) এসে থামে। তাদের সঙ্গে ছিল হালকা মেশিন গান ও সেমি-অটোমেটিক রাইফেল। দুপুর ৩টা পর্যন্ত তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করতে থাকে। হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচার আশায় অনেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। তাঁদের অনেকেই ডুবে মারা যান। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে যায় চুকনগর ও এর আশপাশের বাতাস। মাঠে, ক্ষেতে, খালে-বিলে পড়ে থাকে লাশ আর লাশ। এসব স্থান থেকে লাশ নিয়ে নদীতে ফেলার কাজ শুরু করেন স্থানীয়রা।
২০ মে চুকনগরে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত নিরস্ত্র মানুষদের স্মৃতির উদ্দেশে চুকনগরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভটির নাম চুকনগর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। চুকনগরের ফসলি জমিগুলোয় আজও পাওয়া যায় সেদিনের নিহতদের হাড়গোড়। তাঁদের শরীরে থাকা বিভিন্ন অলঙ্কার। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা যে নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তার এক নিশ্চুপ সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছে আজকের চুকনগর।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন