ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

১০ অক্টোবর ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১০ অক্টোবর ২০২১

১০ অক্টোবর ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়

পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিলো বাঙালি জাতি। পাকিস্তানিদের শাসন, শোষণ এবং নিপীড়ন থেকে মুক্তি দিতে ৭ কোটি মানুষের ত্রাতা হিসেবে এসেছিলেন সর্বকালের সেরা পুরুষ, ক্ষণজন্মা , বাঙালি জাতির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেন।
শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ অক্টোবর ১৯৭২ ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে বিশ্বশান্তি পরিষদ এক ইশতেহারে বাঙালি জাতির পিতা , গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বশান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামকে বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে চির অম্লান করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান করে। বিশ্বশান্তি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ ওইদিন পদক প্রদান করেন বিশ্বশান্তি পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র।
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব , কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে বঙ্গবন্ধু তার পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ। এটি ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আর এই পদক ছিলো বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক অর্জন আপামর বাঙালির এক বিরল সম্মান। এ মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে। কিন্তু এ প্রাপ্তি বা অর্জন দেশি-বিদেশি অনেকের কাছেই চোখের বালি বা ঈর্ষণীয় বিষয় ছিল।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন