ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ছোটবোনের দেওয়া লিভারে সুস্থ হলেন বড়ভাই

প্রকাশিত: ১২:২৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ছোটবোনের দেওয়া লিভারে সুস্থ হলেন বড়ভাই

ছোটবোনের দেওয়া লিভারে সুস্থ হলেন বড়ভাই

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে ছোট বোন শামীমা আক্তারের (৪৩) দেওয়া লিভার নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩)। জানা গেছে, শামীমা আক্তারের দেহ থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে মন্তেজার রহমানের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে শামীমা আক্তারের দেহ থেকে কেটে নেওয়া সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ জোড়া দেওয়া হয়।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগ থেকে সাংবাদিকদের এই এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, বগুড়া জেলার মো. মন্তেজার রহমান লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের রোগী ছিলেন। তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘অ্যান্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন। তাই তাকে লিভার দান করেন তার ছোটবোন শামীমা আক্তার। গত ১ জানুয়ারি তাদের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের সফল অস্ত্রোপচার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। ১২ ঘণ্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অস্ত্রোপচারে সহযোগিতা করে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি, ভারতের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভারদাতা শামীমা আক্তারের লিভারটি ধীরে ধীরে রি-জেনারেট করবে। এটি লিভার নামক অঙ্গটির একটি বিশেষত্ব। এর আগে গত মাসেই তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের চতুর্থ তলায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম’-এর অংশ হিসেবে সম্পন্ন করা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের রোগী মন্তেজার রহমান সুস্থ হওয়ায় তার হাতে ফুল দিয়ে বিদায় জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ প্রমুখ। উপস্থিত সবাই দুই ভাই-বোনসহ সব ধরনের রোগীর জন্য প্রার্থনা করেন।