ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু

দুই হাজার টাকার কোভিড পরীক্ষা হবে আড়াইশ টাকায়

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দুই হাজার টাকার কোভিড পরীক্ষা হবে আড়াইশ টাকায়

বিএসএমএমইউয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান

দেশে চলমান কোভিডকালীন সংকটে দ্রুততম সময় ও স্বল্পখরচে কোভিড শনাক্তে ‘বিসিএসআইআর-কোভিড কিট’ নামক দেশীয় কিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই কিট উদ্ভাবিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই কিট কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআর-কোভিড কিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। 

বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.  আফজালুন নেছা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আহসান।

অনুষ্ঠানে কিটের বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এই কিটের ন্যূনতম শনাক্তকরণ ক্ষমতা ১০০ কপি ভাইরাস/মি.লি. যেখানে অন্যান্য আমদানিকরা কিটগুলোর ন্যূনতম শনাক্তকরণ ক্ষমতা ১০০০ কপি ভাইরাস/মি.লি.। অর্থাৎ এই কিট দ্বারা খুব ন্যূনতম ভাইরাসকেও শনাক্ত করা যাচ্ছে। ফলে রোগের উপসর্গ প্রকাশের আগেই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা সম্ভব হবে।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, কোভিড শনাক্তকরণে আরটিপিসিআর টেস্টকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। কিন্তু এই ধরনের কিট অত্যন্ত ব্যয়বহুল, প্রতিটি পরীক্ষায় খরচ হয় আনুমানিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। তবে, বিসিএসআইআর যে কিট উদ্ভাবন করেছে, এতে অত্যন্ত স্বল্প খরচে পরীক্ষা করা সম্ভব। প্রতিটি শনাক্তকরণ টেস্টে খরচ হবে মাত্র ২৫০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, বিসিএসআইআর-কোভিড কিট কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য একটি সহজ, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। দেশের ঔষধশিল্পে জড়িত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত এই কিটটি উৎপাদনে গেলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশের জনগণ উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীবৃদ্ধ কারিগরি সহায়তা প্রদানে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।