স্বাস্থ্য অধিদফতর
ঢাকায় আসা তুর্কি নাগরিকের উপসর্গ মাঙ্কিপক্সের নয় বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবীর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, তার (তুর্কি নাগরিক) মাঙ্কিপক্সের কোনো উপসর্গ নেই। তার শরীরে যে ফুসকুড়ি, তা দীর্ঘদিনের চর্মরোগের কারণে হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘দেশে বিদেশি একজন নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্সের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে’ এ সংক্রান্ত যে তথ্যটি প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমসহ দেশের বেশকিছু অনলাইন ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে ‘দেশে বিদেশি একজন নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্সের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে’ সংক্রান্ত যে তথ্যটি প্রচার হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। দেশে মাঙ্কিপক্সে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হননি। ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তির আক্রান্তের ঘটনা কখনো ঘটলে তা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। এ মুহূর্তে দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি নেই।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় তুর্কি এয়ারলাইন্সে আসা আকসি আলতে (৩২) নামে ওই ব্যক্তিকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বিমানবন্দর হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিমানবন্দরে দুপুর ১২টায় তুর্কি এয়ারলাইন্সে আসা একজন বিদেশি নাগরিককে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহে বিমানবন্দর হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একজন রোগীকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়েছে। আইইডিসিআর এসে তাদের নমুনা নিয়ে গেছে। পিসিআর টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল শেষে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কি না।
এদিন বিকেলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতাষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা একজন বিদেশফেরত ব্যক্তিকে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করছেন। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অপেক্ষায় আছি। তবে এটি খুব সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এ খবর দেশের সব গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানানো হয়।
