ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

‘লং কোভিড’ এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

‘লং কোভিড’ এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যেমন শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, বুকের বাঁ পাশে চাপ অনুভব করা, চরম ক্লান্তি বা অবসন্নতা, জয়েন্ট ব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, হতাশা বা উদ্বিগ্নতা, অনিদ্রা, স্মৃতিভ্রম বা মনোযোগে সমস্যা, বুক ধড়ফড় করা, কানে ঝিঁঝি শব্দ হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধের পরিবর্তন ইত্যাদি। এসব উপসর্গ কোনো করোনা রোগীর মধ্যে ১২ সপ্তাহ বা এর বেশি সময় ধরে অব্যাহত থাকলে সেই অবস্থাকে ‘লং কোভিড’ বলে।
সাধারণত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সময় থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এবং ৪ সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কে ‘অনগোয়িং কোভিড-১৯’ বলা হয়। লং কোভিড এমন একটি রোগ, যার প্রায় দুই শতাধিক উপসর্গ তালিকাভুক্ত হয়েছে। উপসর্গগুলো পরিবর্তনশীল বা একাধিক উপসর্গের সংমিশ্রণ হওয়ায় এই সমস্যা নিরসনে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ট্রিটমেন্ট অ্যাপ্রোচের প্রয়োজন। বিশেষ করে, কোভিড–পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এ ছাড়া যেসব রোগী আগে থেকেই বিভিন্ন রকম আর্থ্রাইটিস, যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিস, এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস এবং ডিজেনারেটিভ ডিজিজে (স্যারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, লাম্বার স্পনডাইলোসিস কিংবা স্ট্রোক–পরবর্তী প্যারালাইসিস) আক্রান্ত, তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরের জয়েন্টের মুভমেন্ট কম হওয়ায় জয়েন্টগুলো শক্ত অনমনীয় হয়ে পড়ে। এগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
কোভিড–পরবর্তী জটিলতা কমাতে এবং লং কোভিডে আক্রান্ত রোগীকে পুনর্বাসন করতে নিয়মিত শ্বাসতন্ত্রের ব্যায়াম করলে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কষ্ট কমে আসবে। তারপর শারীরিক ফিটনেস ফিরে পেতে বিভিন্ন ধরনের অ্যারোবিক এক্সারসাইজ, স্ট্রেচিংএক্সারসাইজ, স্ট্রেনদেনিংএক্সারসাইজ খুবই কার্যকর। জয়েন্ট ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কোভিড–পরবর্তী লং কোভিডে আক্রান্ত হলে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন।

গাজীপুর কথা