ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ঘুরে আসুন ভারতের ‘স্কটল্যান্ড’ খ্যাত কুর্গ

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ১ জুন ২০২৩

ঘুরে আসুন ভারতের ‘স্কটল্যান্ড’ খ্যাত কুর্গ

ফাইল ছবি

দেশের বাইরে পা রাখতে গেলে এখন অনেক খরচ। কিন্তু মন চাইছে এমন কোথাও যেতে, যেখানে মিল হবে প্রকৃতির সঙ্গে। নিরিবিলিতে কাটানো যাবে বিশেষ মুহূর্ত। এমন টুরিস্ট স্পট পাশের দেশ ভারতেই রয়েছে। ভারতের ‘স্কটল্যান্ড’ই পূরণ করবে আপনার এই স্বপ্ন। এটা আবার কোথায়? এমনটাই ভাবছেন তো? দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কুর্গ‌ হলো ভারতের স্কটল্যান্ড।

কর্ণাটকের পশ্চিমঘাটের সমতল ভূমিতে অবস্থিত এই সুন্দর হিল স্টেশনে প্রতি বছর দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সমাগম হয়। নদী, জলপ্রপাত, পাহাড় এবং সুন্দর চা বাগান নিয়ে গড়ে ওঠা অপূর্ব স্থান কুর্গ। ব্রহ্মগিরি রেঞ্জে রয়েছে ইরুপ্প জলপ্রপাত। এর আর এক নাম ‘লক্ষ্মণ তীর্থ জলপ্রপাত’। বিখ্যাত শিব মন্দির এবং রামেশ্বর মন্দিরও এই জলপ্রপাতের কাছেই অবস্থিত। শিবরাত্রির সময় এখানে ভক্তদের ভিড় হয়।

মল্লাল্লি জলপ্রপাত কুর্গের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এটি এখানকার রহস্যময় জলপ্রপাত হিসেবে পরিচিত। কুমারধারা নদী থেকে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে। এই জলপ্রপাতটি পুষ্পগিরি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং এর উচ্চতা প্রায় ৬০ মিটার। বর্ষাকালে মল্লাল্লি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এখানে পানি মাটি স্পর্শ করার আগেই বাতাসে মিলিয়ে যায়। যার কারণে এ অঞ্চলের আবহাওয়া প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে।

ব্রহ্মগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে কুর্গেই। এই অভয়ারণ্যের সর্বোচ্চ শিখর হল ব্রহ্মগিরি। এই জায়গাটি ট্রেকারদের জন্য সেরা জায়গা। ট্র্যাকটি ইরুপ্প জলপ্রপাত, ভগবান বিষ্ণুর থিরুনালেলে মন্দির এবং পাক্কিপাথালামের গুহাকেও ঘিরে রেখেছে। একই সঙ্গে এই অভয়ারণ্যে অনেক ধরনের বন্যপ্রাণী পাওয়া যায়।

তাদিয়ামণ্ডল চূড়া হল কুর্গের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি ১৭৪৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই জায়গায় ট্রেকিং করাও খুব কঠিন। আপনি যদি প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে চান তবে এটি ফটোগ্রাফির জন্য দুর্দান্ত জায়গা। পাহাড়ের চূড়া থেকে প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।

তাল কাবেরী ব্রহ্মগিরি পাহাড়ে অবস্থিত এবং কাবেরী নদীর উৎপত্তিস্থল বলে মনে করা হয়। বর্তমানে এখানে একটি কুণ্ড তৈরি করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে এই কুন্ডটিকে একটি পবিত্র জলাশয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কাবেরী এই কুণ্ডের ওপারে কয়েক কিলোমিটারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। কুণ্ডের তীরে অগস্ত্য মুনি, শিব ও গণপতির মন্দির দর্শনের পর ভক্তরা এই পবিত্র পানিতে স্নান করেন।