ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পার্পলকিং বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

পার্পলকিং বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা

বেগুন বাগান

অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড বেগুন (পার্পলকিং) চাষে চমক সৃর্ষ্টি করেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর ভাড়াউরা গ্রামের মডেল চাষি অভিনয় দেব। 

অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড বেগুন (পার্পলকিং) চাষের সফলতায় অনান্য কৃষকদের মাঝেও সারা জাগিয়েছেন তিনি। তার এমন সফলতা দেখে এ গ্রামের বেকার যুবকসহ অনেকেই এখন ঝুঁকছেন পার্পলকিং চাষে। অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় বেগুন চাষ করতে আগ্রহী এলাকার অনেক কৃষক। 

আগামী রমজান মাসে স্থানীয় বাজারে বেগুনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম হবে হাইব্রিড বেগুন পার্পলকিং। এই উচ্চ ফলন শীল বীজ সব কৃষদের মাঝে বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছে বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড। 

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ভাড়াউরা গ্রামের কৃষক অভিনয় দেব। তার দুই বিঘা জমিতে শুরু করেন হাইব্রিড জাতের বেগুন (পার্পলকিং) চাষ। তার মাঠে এখন সারি সারি গাছে ঝুলছে অগণিত বেগুন (পার্পলকিং)। চারা লাগানোর ৬০ দিনের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। 

ওজনে একেকটি বেগুন ১৫০ থেকে ১৮০ গ্রাম হয়। একটি গাছ থেকে প্রায় ৩০ কেজি বেগুন প্রতি বছর ফলন পাওয়া যায়। দীর্ঘমেয়াদি ফল দেয় এই বেগুন। দুই বিঘা জমিতে এই বেগুন চাষ করতে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকার মতো। 

পার্পলকিং চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। প্রথম অবস্থায় এক লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন কৃষক অভিনয় দেব । প্রতি কেজি বেগুন ২৩ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। দুই দিন পরপর ২০০ থেকে ২৫০ কেজি বেগুন বিক্রি করেছেন। এই জমি থেকে আরো ৭ মাস বেগুন বিক্রি করতে পারবেন তিনি। 

স্থানীয় কৃষক নিবাস, রিপন এবং মলয় দেব জানালেন, অভিনয় দেব হাইব্রিড বেগুন চাষ শুরু করার অল্প সময়ে চাষে সফল হয়েছেন। তার চাষ দেখে তাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার এ সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই পার্পলকিং চাষ করার পরিকল্পনা করছে। 

সফল কৃষক অভিনয় দেব বলেন, পার্পলকিং চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। চাষ শুরু করার পর থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রথম অবস্থাতেই এক লাখ টাকার বেগুন বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি তার এই বেগুন চাষে এলাকার বেকার চার জন মানুষের কর্মসংস্থান এর সুযোগ হয়েছে। 

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি বিভাগ এর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, হাইব্রিড পার্পলকিং চাষ করে কৃষক অল্প সময়ে লাভবান হবেন। যার বাস্তব প্রমাণ উত্তর ভাড়াউরা গ্রামের মডেল চাষি অভিনয় দেব। উনাকে দেখে এখন অনেক কৃষক বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন।