ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

টাঙ্গাইলে তালিপাম গাছে ফুটেছে ‘মরণফুল’

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৫ আগস্ট ২০২১

টাঙ্গাইলে তালিপাম গাছে ফুটেছে ‘মরণফুল’

টাঙ্গাইলের সার্কিট হাউজে রোপনকৃত তালিপাম গাছে ‘মরণফুল’ ফুটেছে। এই গাছটি ২০১২ সালের ১৮ জুন তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম বজলুল করিম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের বাসা থেকে এনে রোপণ করেছিলেন। ৯ বছর পর এই তালি পাম গাছে ফুল ফুটেছে। 

টাঙ্গাইলের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) দীপ ভৌমিক বলেন, গাছটি সাবেক জেলা প্রশাসক এম বজলুল করিম চৌধুরী স্যারের সময় লাগানো। আমি যতটুক জানি ৯৯ বছরের আগে ফুল ধরে না। কিন্তু এই গাছটি অনেক আগেই ফুল ধরেছে। রোপণ করার ৯ বছরে ফুল দিয়েছে। 

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, গাছে দুই দিন আগে ফুল ফুটেছে। ধারণা করা হচ্ছে হাইব্রিড হওয়ার কারণে এতো তারাতারি ফুল ফুটল। গাছটি এক বার ফুল দেওয়ার পর আবার মারাও যাবে।

তালিপাম গাছ দেখতে অনেকটা তাল গাছের মতই। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর কোথাও আর বুনো পরিবেশে তালিপাম দেখা যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা শেষ তালিপাম গাছটিও ফুল দিয়ে মারা যায় ২০১০ সালে। সেই গাছের ফল থেকেই চারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। 

১৮১৯ সালে ভারতের পূর্বাঞ্চলে তালিপাম গাছের সন্ধান পেয়েছিলেন ব্রিটিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী উইলিয়াম রক্সবার্গ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের পাশে ১৯৫০ সালে আরেকটি গাছ শনাক্ত করেন অধ্যাপক এম সালার খান।

সে সময় পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে আরেকটি গাছ ছিল। সেই গাছে ১৯৭৯ সালে ফুল আসে। শতবর্ষী সেই গাছে হঠাৎ ফুল দেখে স্থানীয়রা চমকে যায়। ‘ভুতের আছর’ ভেবে ফল ধরার আগেই গাছটি কেটে ফেলেন তারা।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছটিকে বুনো পরিবেশে বিশ্বের একমাত্র তালিপাম গাছ হিসেবে ঘোষণা করে। গাছটি লাগানো হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মের আগে। ২০০৮ সালে এই গাছে ধরে মরণ ফুল। জীবনচক্র মেনে ফুল থেকে ফল হয়; ২০১০ সালে মারা যায় গাছটি। তবে মৃত্যুর আগে দিয়ে যায় অনেক ফল।

গাজীপুর কথা