ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শাকিব বলেছিলেন তিনি আগের সম্পর্কে সুখী নন: বুবলী

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

শাকিব বলেছিলেন তিনি আগের সম্পর্কে সুখী নন: বুবলী

শাকিব বলেছিলেন তিনি আগের সম্পর্কে সুখী নন: বুবলী

জনপ্রিয় নায়িকা শবনম বুবলী। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে ও বীরের মা হওয়া ইস্যুতে গেল মাসজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। বিয়ে-সন্তান বিষয়ক তথ্য বিস্ফোরণের পর গত কয়েকদিন কিছুটা চুপ ছিলেন বুবলী। এবার ফেসবুকে এসে ৪১ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় শাকিব-অপু-জয় ও নিজের একমাত্র সন্তান বীরসহ নিজের ব্যক্তিগত-পারিবারিক জীবনের নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। এসময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন।

বুবলী বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন, শাকিব খানের কথা অনুযায়ী অপু বিশ্বাসকে তিনবার অ্যাবর্শন করতে হয়েছিলো। চতুর্থবার বাধ্য হয়েই তিনি সন্তান নিয়েছিলেন। এইসব ঘটনায় তো আমি নেই। তখন সিনেমাতেই আমার অস্তিত্ব নেই। কেন আমাকে দোষারোপ করা হলো? আমার কারণে কারো সংসার ভাঙেনি। আমি স্পষ্ট করে দর্শকের উদ্দেশে বলতে চাই, শাকিব-অপুর সংসার ভাঙার পেছনে আমার কোনো হাত নেই।

শাকিব খান আগের সম্পর্কে সুখী ছিলেন না জানিয়ে এই নায়িকা আরো বলেন, শাকিব খান নিজেই আমাকে বলেছেন, তিনি এই সম্পর্কে (অপু বিশ্বাসের সঙ্গে) সুখী নন। তিনি তার জায়গা থেকে আমাকে অনেক কিছুই বলেছেন। যেটা আমি তার সম্মানার্থে আগেও বলিনি, আজও বলবো না। এটুকু বলি, আমি তো অনেক পরে এসেছি, তাদের সমস্যাগুলো তো অনেক আগে থেকেই।

বুবলী বলেন, অনেকের প্রশ্ন; হঠাৎ জয়ের জন্মদিনে আমার বেবি বাম্পের ছবি দিলাম। দেখুন, জয়ের ব্যাপারে আমি আমার স্বামী শাকিব খানকে কতটা পজিটিভলি দেখতে বলি, এটা উনি জানেন এবং ওনার আশেপাশে যারা কাছের মানুষ আছেন, তারা জানেন। জয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সবরকম পরামর্শ আমি দিয়েছি। সবসময় ওর জন্য ভালোবাসা, দোয়া দিয়ে এসেছি। আমিও তো একটা মানুষ, আমারও তো কষ্ট থাকতে পারে। আমি তো শুধু বেবি বাম্পের ছবি দিয়েছি। কাউকে দোষারোপ করেও তো কিছু বলিনি। শুধু নিজের আবেগের জায়গা থেকে একটা বিষয় শেয়ার করেছি।

বসগিরি’খ্যাত এই নায়িকা আরো বলেন, অনেকে বলে থাকেন, আমি নাকি শাকিব খানের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সহায়তা নিই। এই কথাটাও সম্পূর্ণ ভুল। বিয়ে বা আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার পর থেকে আমি কোনো আর্থিক সহায়তা নিইনি। স্বামী বা সন্তানের বাবা হিসেবে অবশ্যই এটা ওনার অনেক বড় দায়িত্ব। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করে। আমার সন্তানের বয়স তিন বছরের কাছাকাছি, আজ অব্দি আমি কখনোই আর্থিক সহায়তা নিইনি। সমস্ত কিছু নিজেই বহন করছি।