জাতীয় লিগের শিরোপা রংপুরের
জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) সবশেষ ২০১৪-১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর। সেবারই প্রথমবার জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এরপর সবশেষ চার আসরে তিনবার রানার্সআপ হয়ে খুশি থাকতে হয় দলটিকে। অতঃপর চলতি মৌসুমে ঘুচলো সেই আক্ষেপ। দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো রংপুর বিভাগ।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৪তম আসরে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জিতে নিলো আকবর আলির দল। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে সিলেট বিভাগকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। সিলেটের দেওয়া ৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিন সকালেই শিরোপার স্বাদ পেয়ে যায় তারা।
আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে রংপুরের প্রথম ইনিংস থামে ১৮৮ রানে। ৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেও বড় কিছু করতে পারেনি জাকির হাসানের দল। তারা অলআউট হয় ১৬৮ রানে। আর তাতেই রংপুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮৮ রান।
শেষ রাউন্ডের ম্যাচে দ্বিতীয় দিনেই মূলত শিরোপা জেতার পথ তৈরি করে রেখেছিল রংপুর। বুধবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ১০ উইকেট হাতে নিয়ে তাদের করতে হতো স্রেফ ৮৮ রান। তবে সহজে তা করতে দেয়নি সিলেটের পেসাররা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান মাইশুকুর রহমান। মামুনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তৃতীয় উইকেটে ৩৫ রান যোগ করেন মিম মোসাদ্দেক ও রিশাদ হোসেন। একই ওভারে রিশাদ ও তানবীর হায়দারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমানোর আভাস দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
এরপর উইকেটে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ১৮ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন অধিনায়ক আকবর। জয়ের জন্য ৪ রান বাকি থাকে তাকেও সাজঘরে পাঠান তানজিম। শেষদিকে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েই মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক।
ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ২৩ রান ও বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ রাউন্ডে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মামুন।
আসরে অবশ্য হার দিয়ে শুরু করেছিল রংপুর। প্রথম রাউন্ডে ঢাকার কাছে ইনিংস ও ৬২ রানের পরাজয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তারা। সেই ম্যাচে দুই ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৯২ ও ৫৬ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল তারা।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল রংপুর। ২১ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দুই নম্বরে আছে সিলেট। অন্য ম্যাচের ফলের প্রেক্ষিতে পাল্টাতে পারে তাদের অবস্থান। তাই রানার্সআপ কে হবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে পাঁচ ম্যাচ খেলে দলের সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করেছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। আসরের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। বল হাতে তার শিকার ১১ উইকেট। বোলিংয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়েছেন তরুণ ডানহাতি পেসার মুশফিক হাসান। আরেক পেসার রবিউল হক পেয়েছেন ১৭ উইকেট।