
সংগৃহীত ছবি
- বিশ্বের যে কোনো দেশে উপনির্বাচনে ভোটার ‘টার্ন-আউট’ কম হয়। এটা আমাদের দেশেও সব সময় হয়ে আসছে। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাস আগে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটাই স্বাভাবিক।
- নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ভোটাররা আগ্রহ হারিয়েছে। এছাড়াও ঢাকা ১৭ আসনে বরাবরই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়।
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো রাজধানীর অভিজাত এলাকা ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন। ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণের শুরু দিকে এজেন্ট ও ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়েনি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার নানাবিধ কারণ উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র মতে, বিশ্বের যে কোনো দেশে উপনির্বাচনে ভোটার ‘টার্ন-আউট’ কম হয়। এটা আমাদের দেশেও সব সময় হয়ে আসছে। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাস আগে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমেরিকায় যদি নির্বাচনের পাঁচ-ছয় মাস আগে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে অনেক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। আবার নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ভোটাররা আগ্রহ হারিয়েছে। এছাড়াও ঢাকা ১৭ আসনে বরাবরই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটের পরিবেশ ভালো ছিল, সকল প্রার্থীদের এজেন্টে ছিল। সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করায় ভোটে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। বিরোধীরা ভোটে বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে ভোটার বাড়তো। আবার সংসদের মেয়াদ কম হওয়া এবং শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা ও ভোটের শুরুতেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে নাগরিকরা ভোটদানে আগ্রহ হারিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।