প্রচারণা চালাচ্ছেন অ্যাডভোকেট এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু
শূন্য ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তিনি দুই উপজেলার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রঞ্জু সকাল থেকে দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালান। এরমধ্যে ঘুরিদহ ইউনিয়নের জাকুরতাড়াই, বটতলা বাজার, সুচেলপুর, ভরতখালী, উল্ল্যা বাজারে গণসংযোগ করেন। বাজারে আগত লোকজন ও ব্যবসায়ীদের কাছে লাঙ্গল মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
গত ২৩ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ১২ অক্টোবর ইভিএমের মাধ্যমে উপনির্বাচনের ভোট চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে নির্বাচন কমিশন আগামী ৪ জানুয়ারি ইভিএমের মাধ্যমে পূনরায় ভোটগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেন। এ আসনে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গণসংযোগকালে রঞ্জু বলেন, ‘ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। তাদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া জন্য বলছি। গত ১২ অক্টোবরের মতো যদি পেশি শক্তি ব্যবহার না করা হয়, তাহলে জাতীয় পার্টির বিজয় সুনিশ্চিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি, গত উপনির্বাচনের মতো আবারও আমার দলের নেতাকর্মীর নামে মামলা, হামলা হবে কি না। ভোটাররাও শংঙ্কা প্রকাশ করছেন। ভোট দিতে দিয়ে পূনরায় তাদের কাছ থেকে ভোট জোর করে বোতাম চাপ নিয়ে নেওয়া হবে কি-না। তবুও আমি শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে থাকবো। জনগণ আমার সঙ্গে আছে। আগামী ৪ জানুয়ারি বিপুল ভোটে লাঙ্গল মার্কার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।'
প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। তিনিও সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দুই উপজেলার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
গণসংযোগকালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ‘উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রতীকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে, তাই আমি নির্বাচিত হলে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো। বিশেষত গাইবান্ধার বালাসি থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ এবং ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেবো। আগামী ৪ জানুয়ারি বিপুল ভোটে নৌকা মার্কার বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।’
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও একজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা হলেন- বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)। স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) সংবাদ সম্মেলনে করে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন।