ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ১৮ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পাবনায় নৌকার সমর্থককে হত্যা করলেন বিদ্রোহী প্রার্থী

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

পাবনায় নৌকার সমর্থককে হত্যা করলেন বিদ্রোহী প্রার্থী

পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হেরে যাওয়ায় শামিম হোসেন নামে এক নৌকার সমর্থককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বতস্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শামীম হোসেন নাজিরপুর হাটপাড়ার নুর আলী প্রামাণিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী।   

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাগরিবের নামাজের পর নাজিরপুর হাটপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মধু তার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) তরিকুল ইসলাম নিলু খা ও তার ছেলে ইমরান বেশ কিছু লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। গুলিতে শামীম হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। 

স্থানীয়রা জানায়, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলাম নীলু আর মঞ্জুরুল ইসলাম মধু সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। অনেকদিন থেকেই পারিবারিকভাবে তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে শামীমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধু জানান, বিদ্রোহী প্রার্থী (অটোরিকশা মার্কা) তরিকুল ইসলাম খান ও তার ছেলে ইমরান হোসেন সশস্ত্র কর্মীদের নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে। এ সময় আমার সামনে থাকা কর্মী শামীম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমি মাটিতে শুয়ে পড়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাই। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

এ বিষয়ে কথা বলতে তারিকুল ইসলাম নিলুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন এবং ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। 

পাবনা সদর সার্কেলের এএসপি রোকনুজ্জামান জানান, গুলিবিদ্ধ শামীমকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গাজীপুর কথা