ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে শিক্ষায়

প্রকাশিত: ১২:০০, ২ জুন ২০২৩

সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে শিক্ষায়

ফাইল ছবি

২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাখাতে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আসন্ন অর্থ বছরে মোট ৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

তবে নতুন বাজেটে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ অথবা এমপিওভুক্তির কোনো আশ্বাস আসেনি অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতায়। বর্তমান সরকারের শেষ অর্থবছর হওয়ায় এবং সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় এক থেকে দেড় হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার প্রত্যাশা ছিল। তবে শিক্ষকদের সে প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।

আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

চলতি অর্থ বছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা।

এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থ বছরে এই বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী সংসদে বাজেট পেশের আগে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর বাজেট প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’

প্রস্তাবিত বাজেট আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক ২ শতংশ। বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি এবং অন্যান্য উৎস হতে ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।

আগামী বাজেটে ব্যয়ের বিপরীতে সরকার মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা প্রাক্কলিত জিডিপির ১০ শতাংশ। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আসবে।