ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কুবিতে জমেছে বিশ্বকাপের আমেজ, আছে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

কুবিতে জমেছে বিশ্বকাপের আমেজ, আছে ক্ষোভ

কুবিতে জমেছে বিশ্বকাপের আমেজ, আছে ক্ষোভ

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ নামে পরিচিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর বসেছে কাতারে। ২০ নভেম্বর শুরু হওয়া কাতার বিশ্বকাপ ৩২ দল থেকে পৌঁছেছে ১৬ দলে। নক আউট পর্বে ফের জমেছে বিশ্বকাপ। কাতারের এমন আমেজ-উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। 

এদেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ ফুটবলকে নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বাংলার ঘরে ঘরে শোভা পাচ্ছে ভিনদেশের রঙ-বেরঙের পতাকা। যেমনটা দেখা গিয়েছে লালমাটির ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও।

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকগোষ্ঠী, ফ্যানক্লাব, মিছিল, শোভাযাত্রা, বাজি ফোটানো, দলবেঁধে হলে হলে খেলা দেখার উন্মাদনা তৈরি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। 

বিশ্বকাপ শুরু থেকে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর দাবি ওঠে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে হলে হলে টিভিতে খেলা উপভোগ করছেন তারা। 

 

ব্রাজিলের সমর্থকরাও আনন্দ। ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বড় পর্দায় খেলা দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে বিষয়ে চিন্তাও করতে পারেনি। গ্রামে-গঞ্জেও বড় পর্দায় খেলা দেখছে মানুষ। কিন্তু হলে হলে টিভির পর্দায় খেলা দেখছি। প্রশাসন উদ্যোগ নিলে আমরা কোয়ার্টার থেকে খেলাগুলো দেখতে পারব।

জানা যায়, বিশ্বকাপ শুরু থেকে ফুটবলের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ফ্যানক্লাব ও সমর্থকগোষ্ঠী গঠন করেছে। নিজেদের অর্থায়নে তৈরি করেছে প্রিয় দলের জাতীয় পতাকা। বিভিন্ন হলের ছাদে, গেইটে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেন, পর্তুগালের মতো বিশ্ব পরাশক্তি বিভিন্ন দেশের পতাকা। 

তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আর্জেন্টিনা সমর্থকগোষ্ঠীর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ৫০ মিটারের বিশাল আর্জেন্টিনার পতাকা। গত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) আর্জেন্টিনার পতাকা হাতে বিশাল শোভাযাত্রা বের করে সমর্থকরা। আকাশী-নীলে মুখর হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। শোভাযাত্রা শেষে ব্রাজিল সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে বিতরণ করা হয় সেভেন আপ। এর আগে ব্রাজিলের সমর্থকরাও আনন্দ মিছিল বের করে ব্রাজিলকে শুভাকামনা জানায়। খেলা শেষে মিছিল বের করে ব্রাজিলের সমর্থকরা।

 

আর্জেন্টিনা সমর্থকগোষ্ঠীর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ৫০ মিটারের বিশাল আর্জেন্টিনার পতাকা

বড় পর্দায় খেলা দেখার সুযোগ না থাকায় হলের টিভি রুমে চলে বিশ্বকাপ দেখার আমেজ। সন্ধ্যায় থেকে রাত অবধি তর্কে-বিতর্কে, হাসি-ঠাট্টা, খুনসুটিতে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। দুই পক্ষের সমর্থকরা নিজেদের জানান দিতে খেলা শেষে আনন্দ মিছিল বের করে। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী পাপন মিয়াজি বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবল আসলে বাংলাদেশে এক ভিন্ন আবাহ তৈরি হয়। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। লালমাটির ক্যাম্পাসে আমরা সে উন্মাদনা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই পরাশক্তি দলের সমর্থকরা আলাদা আলাদা সমর্থনগোষ্ঠী করেছি। 

আর্জেন্টিনা সমর্থক রাকেশ দাস বলেন, ফুটবলে আর্জেন্টিনা এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। সেটা তাদের সর্বশেষ খেলায় আবারো প্রমাণিত। জয়ের ধারা বজায় রেখে এই বিশ্বকাপ ফুটবল সৌন্দর্যের অনিন্দ্য রূপকথার গল্প লিখবে মেসি। আগামীর জন্য মেসি ও আর্জেন্টিনাকে শুভকামনা জানিয়ে আমরা আনন্দ শোভাযাত্রা করেছি। 

ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থক তানভীর খান বলেন, ফুটবলের যে সৌন্দর্য, শিল্প সেটার প্রমাণ দিচ্ছে ব্রাজিল। ব্রাজিল পাঁচবার স্বপ্নের ট্রফি ঘরে তুলে জানিয়ে দিয়েছি এবারো আমরাই দাবিদার। কোনো ধরণের অঘটন না হলে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ পেতে যাচ্ছে ব্রাজিল।