ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবিয়াল মিস্ট্রি

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ৪ অক্টোবর ২০২২

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবিয়াল মিস্ট্রি

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মাইক্রোবিয়াল মিস্ট্রি নামের দেয়ালিকা।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মাইক্রোবিয়াল মিস্ট্রি নামে দেয়ালিকা উন্মোচিত হয়েছে। এছাড়াও জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৪১-৪২তম ব্যাচের বরণ ও ৩৪তম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়। 

বৃহস্পতিবার দেয়ালিকার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।

বাংলা ও ইংলিশ দুইটি সংস্করণে প্রকাশ করা হয় দেয়ালিকাগুলো। বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক নাজমুন নাহারের সম্পাদনায় ও ৩৭তম ব্যাচের ফাহিম ফয়সাল, এহসানুল হক, জাকারিয়া আহম্মেদ সানি এবং প্রকাশ রাজবংশীর সহযোগিতায় এ দেয়ালিকা প্রকাশ হয়। 

সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা জানান, ‘বাংলা দেয়ালিকায় ধারাবাহিকভাবে হরর মুভির গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যা অণুজীব বিজ্ঞানের প্রতিচ্ছবি। হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে অতন্দ্র প্রহরীদের, যা মানুষের শরীরের ইমিউনিটির কথা বলে। এছাড়াও ব্রেইন ইটার নামে এক মজাদার ভয়ানক আমিবার গল্প তুলে উঠে বাংলা দেয়ালিকাটিতে।’ 

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘ইংরেজি সংরক্ষণে মানবদেহের কয়েকটি সুপার ভিলেনের গল্প ফুটে উঠে। এছাড়াও রাসায়নিক বন্ধনের কথোপকথন, যা তুলে ধরেছে ব্যাকটেরিয়া ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক।’

দেয়ালিকার সম্পাদক নাজমুন নাহার বলেন, ‘জ্ঞান উন্মুক্ত তখনই হবে, যখন এর চর্চা হবে। যা বিকশিত করবে আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা ও সৃজনশীলতার। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় দুইটি দেয়ালিকা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।’

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪১-৪২তম ব্যাচের বরণ ও ৩৪তম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মাইক্রোবিয়াল মিস্ট্রির হাতেখড়ি। এ অনুষ্ঠানে প্রথম-অষ্টম সেমিস্টারের কৃতি শিক্ষার্থীদেরও পুরস্কৃত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আবুল হোসেন, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ, বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহ্‌ আলম সহ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহ্‌ আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ বিভাগগুলোর মধ্যে অন্যতম মাইক্রোবায়োলজি। সামনের জানুয়ারিতে বিভাগের অ্যালামনাই পরিষদ গঠন করা হবে। এছাড়াও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।’

নবীনদের শুভেচ্ছা ও বিদায়ী অভিনন্দন জানিয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীতে ৪০ লাখ টাকা গবেষণায় বরাদ্দ পাবে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।’

উপাচার্য ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘সৃজনশীলতার চর্চা ছাড়া ভালো কিছু সম্ভব নয়। আগামীকাল কিছু পেতে চাইলে, আজ পড়াশোনা করতে হবে।’