ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী নেহালউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসচিবসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপর গ্রেফতাররা হলেন— ভুরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়ের ইসলাম।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) চলমান এসএসসি পরীক্ষার গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান ও রসায়ন এই চারটি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। একই দিনে ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিযোগ দেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সদস্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালীক চৌধুরী। এরপরই ভুরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়ের ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রশ্নফাঁসের সত্যতা পায় উপজেলা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। পরে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ওই বিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকার সুবাদে কেন্দ্রসচিব এবং ওই দুই শিক্ষক প্রশ্নপত্র সর্টিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তারা ওই প্রশ্নপত্র গোপনে নিয়ে যান এবং নিজেদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিন হাতে লিখে সরবরাহ করেন। এদিকে হাতের লেখা সেই প্রশ্নপত্র হোয়াটস অ্যাপে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রিরও অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।