ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করায় শিক্ষিকাকে পেটালেন শিক্ষা কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৭ আগস্ট ২০২২

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করায় শিক্ষিকাকে পেটালেন শিক্ষা কর্মকর্তা

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মৌসুমী ত্রিপুরা

স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় খাগড়াছড়িতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা সদরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসার বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মৌসুমী ত্রিপুরা। তিনি মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তবে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন বলেন, মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়েছে। মৌসুমীকে বিয়ে করেননি বলেও তিনি দাবি করেন।

মৌসুমী ত্রিপুরার অভিযোগ, সকালে বিদ্যালয়ের নড়বড়ে প্রবেশদ্বার সংস্কার করার আবেদন নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সুভায়ন খীসা তাঁর সঙ্গে প্রথমে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে সহকর্মীরা মৌসুমীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা আমাকে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেছেন। কিন্তু স্ত্রীর স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। আমি স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করায় বিভিন্ন সময় আমাকে হেনস্তা করেছেন। আজকে আমাকে পিটিয়ে আহত করেছেন। ’

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিথিলা বড়ুয়া বলেন, ওই শিক্ষিকা মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁর চোখের নিচেও সেলাই করতে হয়েছে। যেহেতু উনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন, তাই সিটি স্ক্যান করাতে বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা। তিনি বলেন, ‘আমি অফিসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। প্রধান শিক্ষিকা আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ কারণে তাঁর সঙ্গে আমার ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে দরজায় ধাক্কা লেগে তিনি আহত হন। তাঁকে আমি বিয়ে করিনি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, ‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’