ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত স্কুল চলছে গ্রামবাসীর চাঁদায়

প্রকাশিত: ১৪:২৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত স্কুল চলছে গ্রামবাসীর চাঁদায়

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় ছিল না কোনো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ২০২০ সালে ঐ উপজেলার দুর্গম ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের খাগড়াছড়ি পাড়ায় নিজেরা চাঁদা দিয়ে ও স্বেচ্ছাশ্রমে ঢেউটিনের একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণ করে গ্রামবাসী। নাম রাখা হয়- রাজস্থলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

নির্মাণের এতদিন পরও স্কুলটি কোনো সরকারি সহযোগিতা পায়নি। ফলে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চলছে গ্রামবাসীর চাঁদায়। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই পড়ছে বিনাবেতনে। এ অবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধে হিমশিম খেতে হয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে। এ কারণে সরকারি-বেসরকারি অনুদান ও বিত্তবানদের প্রতি সহযোহিতার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।

জানা গেছে, এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী অর্ধশতাধিক। তাদের জন্য রয়েছেন ৮ জন শিক্ষক এবং ৪ জন কর্মচারী।

গ্রামবাসী জানায়, ২০২০ সালে নির্মাণের পর আর্থিক সঙ্কটে মাঝপথে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবারো গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়েই বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। এ অবস্থায় বিদ্যালয় কতদিন চলবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের।

রাজস্থলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলাচিংথোয়াই মারমা জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বিদ্যালয়ের খরচ মেটাতে এলাকার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সহযোগিতায় প্রতি মাসে তাদের বেতন-ভাতা দিতে হয়।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পুচিংমং জানান, সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন কিংবা বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম আরো একধাপ এগিয়ে নেয়া যাবে।

রাজস্থলী উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা জানান, উপজেলা পরিষদের সমন্বয় মিটিংয়ে  বিদ্যালয়টির বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।

গাজীপুর কথা