ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

অস্ত্রোপচারের পরও অনশন ভাঙেননি শাবিপ্রবি এই শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

অস্ত্রোপচারের পরও অনশন ভাঙেননি শাবিপ্রবি এই শিক্ষার্থী

অস্ত্রোপচারের পরও অনশন ভাঙেননি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। তার নাম মাহিন শাহিরিয়ার রাতুল।  

এদিকে শাবিপ্রবিতে ২০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বেগম সিরাজুন্নেসা হলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রথমে হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ঐ হলের ছাত্রীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনুযায়ী পরে ভিসির মদদে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। ভিসির এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এর জেরে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করে। গত বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভিসিকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়। ঐ সময়ে ভিসি পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করে।

অনশনের দ্বিতীয় দিন থেকে থেমে থেমে রাতুলের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শুরু হয়। তবুও তিনি অনশন ভাঙেননি। রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগ হলে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাগিব রাবেয়া হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
 
রাতুলের সহপাঠী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, সে অনশনরত অবস্থায় দ্বিতীয় দিন তার হঠাৎ ব্যথা শুরু হয়। প্রথমে স্বাভাবিক ব্যথা মনে হলে ইঞ্জেকশন দিলে ভালো হয়। পরের দিন ব্যথা উঠলেও ভালো হয়। তৃতীয় দিন কোনোভাবেই ব্যথা না থামলে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রোববার তার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে অস্ত্রোপচার শেষেও তিনি অনশনে আছেন।

রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নুরুল কাইয়ুম মোহাম্মদ মোরসালিন বলেন, রাতুল যখন হাসপাতালে আসেন, আমাদের মনে হয়েছে অ্যাপেন্ডিসাইটিস। তার পেটের ডান দিকে ব্যথা ছিল, জ্বর ছিল। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হলাম এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিস। 

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লাস্ট স্টেজ ছিল। অপারেশন না করালে ব্লাস্ট হয়ে যেত। ব্লাস্ট হওয়ার আগমুহূর্তে আমরা কেটে বের করেছি। এখন তাকে স্টেপ ডাউন ইউনিটে (এসডিইউ) রাখা হয়েছে। এখন আশঙ্কামুক্ত বলা যায়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ১১০ ঘণ্টা পার হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। শুরুতে ২৪ জন অনশন শুরু করলেও নতুন করে গণঅনশনে যুক্ত আছেন আরও পাঁচজন। অপরদিকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

গাজীপুর কথা