ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৭ আগস্ট ২০২২

যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে

ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে

ডলারের দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করায় নিয়ন্ত্রণে আসছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। পাইকারি পর্যায়ে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দামও কমতে শুরু করেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় ক্রেতাশূন্য বাজারে প্রতি মণ সয়াবিনে ৪০০ এবং পাম অয়েলে ৩০০ টাকা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে আদা-রসুন-পেঁয়াজ-চিনি এবং ডালের দামও।

মাত্র একদিনের ব্যবধানে শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রতি মণ সয়াবিনের দাম ৪০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৬০০ টাকা দরে। একই সঙ্গে পাম অয়েল এবং সুপার সয়াবিনে ৩০০ টাকা করে কমেছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার সম্প্রতি প্রতি লিটার সয়াবিনে ৭ টাকা করে বাড়িয়েছে। অথচ একই সময়ে পাইকারী পর্যায়ে আরও কম দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছিল।

টাকার বিপরীতে ডলারের রেট কমার পাশাপাশি ক্রেতা না থাকায় এক সপ্তাহে কেজিতে অন্তত ৩ টাকা কমেছে সব ধরনের ডালের দাম।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স সালমা ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার জুয়েল মহাজন বলেন, ডলারের দাম কমায় পণ্যের দাম এখন নিম্নমুখী। তবে বেচাকেনাও কম।

পাইকারী পর্যায়ে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দামও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। এখানে পর্যাপ্ত ক্রেতা নেই বললেই চলে। গুদামে পড়ে আছে সাধারণ মসলার স্তূপ।

শনিবার প্রতিকেজি আদা ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, রসুন ৭ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা এবং পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে এখন ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স শেলী এন্টারপ্রাইজের পরিচালক রনি বিশ্বাস গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম কমেছে। সেই সঙ্গে এখানে ক্রেতাও কম। অথচ আমদানি বেশি।

এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী চিনির বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে। গত সপ্তাহে প্রতি মণ চিনি ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও একদিনের ব্যবধানে কমেছে ৫০ টাকা।

ভোগ্যপণ্যের দাম যখন লাগামহীন হয়ে ওঠে, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেচাকেনা কমে আসে। তখন কোনো কারসাজিও কাজে আসে না। তাই দাম কমাতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা। খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের বাজারেও একই অবস্থা। গত কিছুদিন ধরে দাম বাড়ার কারণে বেচাকেনাও কমে যায়। আর তাই অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম এক নিম্নমুখী।

    আরো পড়ুন