ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বপ্নের ঠিকানায় ৩৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ২০০ মানুষ

প্রকাশিত: ১০:২৩, ৩১ মে ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বপ্নের ঠিকানায় ৩৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ২০০ মানুষ

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বপ্নের ঠিকানা

একটু মাথা গোজার মতো ঠাঁই না পেয়ে রাস্তা কিংবা বস্তির খোলা আকাশের নিচে কিংবা প্রখর রোদ্দুরে শিশুসন্তান নিয়ে যে পরিবারগুলো নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছিল, সেই সব পরিবার এখন পাকা ঘরে বসবাসের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে অনিশ্চয়তার অন্ধকার পার করে স্বপ্নের ঠিকানায় ঠাঁই পেয়েছে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪০টি পরিবারের ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ২০০ মানুষ।

১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। তার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার দানকৃত জমিতে প্রথম পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হয়। ঘূর্ণিঝড় ও নদীভাঙনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৮ হাজারেরও বেশি গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এসব গৃহহীন পরিবার ২ শতাংশ করে জমি পেয়েছে। একটি আধা পাকা দুই কক্ষের ঘর পেয়েছে। ঘরে রয়েছে গোসলখানা, টয়লেট ও রান্নাঘর।

উপকারভোগীদের সক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পেশামুখী প্রশিক্ষণ। বিশেষ করে ব্যারাকে বসবাসকারী সুবিধাভোগীদের মৎস্য চাষ, পাটি বুনন, নার্সারি, নকশিকাঁথা, ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিক ওয়্যারিং এবং রিকশা-সাইকেল-ভ্যান গাড়ি মেরামতের মতো নানা পেশায় প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। আয়বর্ধনকারী ব্যবসা বা পেশা চালুর জন্য ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছে।

ব্যারাকে পুনর্বাসিত পরিবারপ্রতি প্রাথমিকভাবে তিন মাসের ভিজিএফের আওতায় খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মাতৃত্বকালীন, বয়স্ক, বিধবা বা অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন তারা। অর্থাৎ, একজন নিঃস্ব ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মানবসম্পদে পরিণত করে আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন