ছিনতাইকারী চক্র
পুলিশ পরিচয়ে অটো ভাড়া। এরপর সুযোগ বুঝে অটো চালককে হত্যা কিংবা প্রতারণা করে অটো কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিকশা বাগিয়ে নেয়া। নরসিংদীতে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।
রোববার জেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখা ও থানা পুলিশ। চালক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন- মনোহরদী থানার পূর্ব ডোমনমারা গ্রামের মৃত আ. রশিদের ছেলে নাঈম মিয়া (২২) ও পশ্চিম বীরগাঁও গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকির হোসেন (২৫)।
গ্রেফতারকৃত ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের ৫ জন হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার সাদিপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আরিফ মিয়া (২৮), তাজুল ইসলামের ছেলে মো. মিম ইসলাম (২৬), লোকমান হোসেনের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (৩০), কোনাবাড়ি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মো. রিপন মিয়া (৩৩) ও বন্দর থানার গুকলদাসের বাগ এলাকার মৃত আমির হামজার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৮)।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান ও আল আমিন মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে মনোহরদীর পূর্ব ডোমনমারা গ্রামের একটি পুকুর থেকে স্বপন মিয়া নামে এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ হত্যার ঘটনায় জড়িত নাঈম মিয়া ও জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য চালক স্বপন মিয়াকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
অপরদিকে গত ২১ জুলাই নরসিংদীর পলাশের ভাটপাড়ায় একটি চক্র ডিবি পরিচয়ে ইজিবাইক চালককে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে কিছু দূর সামনে নিয়ে নামিয়ে দেয়। এ সুযোগে এ চক্রের সদস্যরা চালকের রেখে যাওয়া ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তদন্তে নামে গোয়েন্দা শাখা ও পলাশ থানা পুলিশ। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরমধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় ইজিবাইক চুরির মামলা রয়েছে। এ সময় তাদের কাছে থেকে ৫টি ইজিবাইক ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে।