ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ছেলের সামনেই মাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখে বাবা-দাদি

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ১৭ নভেম্বর ২০২১

ছেলের সামনেই মাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখে বাবা-দাদি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে যৌতুকের জন্য মুক্তা বেগম নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে ঐ উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বাড়াইশালপাড়া আদর্শ গুচ্ছগ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তহিদুল ইসলাম ও শাশুড়ি তহুরা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তারা ঐ গুচ্ছ গ্রামের মো. আফজালের ছেলে ও স্ত্রী।

নিহত মুক্তা বেগম একই উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত উত্তরপাড়ার মোস্তফার মেয়ে।

মুক্তা বেগমের মা মোরশেদা বলেন, ৯ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পর থেকেই জামাই ও তার বাবা-মা যৌতুক দাবি করে আসছে। এরই মধ্যে অনেক টাকা দেওয়া হয়েছে। তাদের একটি ছেলেও হয়েছে। তবু তারা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন থামায়নি। যৌতুক না দেওয়ায় তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে বসার পিঁড়ি দিয়ে বুকে ও পিঠে আঘাত করে মুক্তা বেগমকে হত্যা করে তহিদুল ও তহুরা। এরপর লাশের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের চালের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে চিৎকার করে যে- মুক্তা আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাদের সহযোগিতায় লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে আবার মুক্তা লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় তারা।

সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে মুক্তা বেগমের মা-বাবা ছুটে যান। ঐ সময় তারা মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন।

মুক্তা বেগমের ছেলে মোমিন নিজের পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলে, বাবা আমার মাকে পিঁড়ি দিয়ে মারছে আর গলায় ওড়না দিয়ে বাঁধছে। আমাকেও মারছে।

১১টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সাথে হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে  ধরে নিয়ে আসে।

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। নিহতের ছেলের বর্ণনার সূত্র ধরে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে তবে তার শ্বশুর, দেবর ও খালা শাশুড়ি পলাতক। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন