ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মেহেরপুরে বিপুল হত্যায় সব আসামি খালাস

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মেহেরপুরে বিপুল হত্যায় সব আসামি খালাস

মেহেরপুর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুল হত্যার ৬ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওলিউল ইসলাম আদালতে এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন হলেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, শহর যুবলীগ নেতা ইয়ানুস শেখ, মাহফুজ আলী, লিখন হোসেন ও বাদশা হোসেন।

রায় ঘোষণার পরপরই বাইরে অপেক্ষমাণ শত শত মানুষ আসামিদের পক্ষে আনন্দ প্রকাশ করেন।

এর আগে এ হত্যা মামলাটি রায়ের দিন দু’দফা পিছিয়ে বুধবার নতুন দিন ধার্য করে আদালত।

এর আগে গত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আদালত, আসামিদের আগের দেওয়া জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সোমবার রাত ১০ টার দিকে মেহেরপুর শহরের কাশাড়ি পাড়ার জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (সহ প্রচার সম্পাদক) শহিদুল ইসলাম পেরেশানের বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর পৌর সভার ৮ নম্বর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল আমীন বিপুল যোগ দেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কয়েকজন অস্ত্রধারী সেখানে প্রবেশ করে তাকে লক্ষ্য করে পর পর ৩ রাউণ্ড গুলি করে। এতে তার মাথায় ও বুকে তিনটি গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিপুলের স্ত্রী বেলী খাতুন বাদী হয়ে ২ দিন পর জেলা মেহেরপুর যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সাজ্জাদুল অনাম, অর্থ সম্পাদক ও বর্তমান মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মো. মাহাফুজুর রহমান রিটন, বাড়ির মালিক ও সহপ্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পেরেশানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা করেন।

পরবর্তীতে বর্তমান মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়।  শহিদুল ইসলাম পেরেশান, তার ভাই বাদশা, ইয়ানুস, লিখন, মাহফুজ ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনামকে আসামি করে চার্জশিট দেয় সদর থানা পুলিশ।

মামলায় সরকারি পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষে ইয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলামসহ একাধিক আইনজীবী অংশ নেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের আদালতের প্রতি আস্থা রয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলা পর্যবেক্ষণ করে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।

পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য জানান, বিচারক চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে পরবর্তীতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন