ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে রংপুরে

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে রংপুরে

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে রংপুরে

সড়ক, রেল, আকাশ ও নদীপথে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে রংপুর অঞ্চলে। শিগগিরই পৌঁছে যাবে পাইপলাইনের গ্যাসও। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাপক বিনিয়োগে এ অঞ্চলে শিল্প বিকাশের দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। আর সরকারের পাশাপাশি শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের।

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে ৫৫ বছর পর হুইসেল বাজিয়ে চলাচল শুরু করছে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন। শুরু হয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পরিধি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিস্তৃতের কাজও।

সাসেক-১ প্রকল্পের পর সাসেক-২ বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে গেছে রংপুর পর্যন্ত। আর সাসেক-৩ ও ৪-এর মাধ্যমে বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহার হবে করিডোর হিসেবে। এদিকে চিলমারী নদীবন্দরের চলমান উন্নয়নকাজ শেষ হলে ভারতের সঙ্গে চালু হবে নৌরুট।

এ ছাড়া চলতি বছরের মাঝামাঝি পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্প উৎপাদনে গ্যাস পাচ্ছে রংপুর ও নীলফামারীর কারখানাগুলো। রংপুর বিভাগের আট জেলায় দুই শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ১২০টি শিল্প ইউনিট পাবে গ্যাস সংযোগ।

এদিকে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে সমগ্র পাইপলাইন কমিশনিং করে এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নপূরণের আশা জানান গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এস এম আমির হোসেন।

আর রংপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে বিজনেসের হাব হবে রংপুর।

এ ছাড়া গ্যাসের মাধ্যমে গার্মেন্টসসহ কৃষিভিত্তিক শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

রংপুরকে কৃষিভিত্তিক অঞ্চল উল্লেখ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হোসেন বলেন, এখানে প্রচুর কাঁচামাল রয়েছে। এসব কাঁচামাল কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে ব্যবহার করা গেলে এ অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব হবে।

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শিল্প ও বণিক সমিতিগুলোকে মেলা-সেমিনার আয়োজনে তৎপর দেখা গেলেও উত্তরাঞ্চলে শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না। এ অঞ্চলে উন্নয়ন ঘটাতে হলে এসব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।